
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
প্রথম শ্রেণীর নড়াইল পৌরসভার পঁচাত্তর শতাংশ সড়কেরই বেহাল দশা। সারা বছরই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে থাকে জলাবদ্ধতা, বাকি সড়কগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে দূর্ভোগে পড়েছে পৌর এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। দ্রুত এ সকল সড়ক সংস্কার করে সাধারন মানুষের চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা। কর্তৃপক্ষ বলছেন বাজেট সল্পতার কারনে সড়কগুলোর করুন অবস্থা হয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সড়কগুলো সংস্কারের আশ্বাস তাদের।
এক সময় নড়াইল শহরের রুপগঞ্জ বাজার এলাকার ব্যাস্ততম সড়ক ছিল এই রুপগঞ্জ-ভওয়াখালী সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে রুপগঞ্জ বাজারে প্রতি দিন শত শত মানুষ আসা যাওয়া করতো। বছর দশেক হলো এই সড়কটিতে প্রায় সারাবছরই জলাবদ্ধতা থাকে। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় দূর্ভোগে পড়েছে এই সড়ক ব্যাবহারকারী হাজারো পথচারী। শুধু রুপগঞ্জ-ভওয়াখালী সড়কই নয়। নড়াইল পৌরসভার অধিকাংশ সড়কেরই করুন অবস্থা। বেশির ভাগ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শীতের সময়ও বেশ কয়েকটি সড়কে জমে রয়েছে পানি। বাধ্য হয়ে অনেক পথচারী ঝুকি নিয়ে পানির মধ্য দিয়ে ভ্যান, ইজিবাইক, সটরসাইকেল, ট্রাক নিয়ে চলাচল করছেন। পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলোর মধ্যে বেশি নাজুক অবস্থা শহরের প্রান কেন্দ্র মহিষখোলা, আলাদাৎপুর, দূর্গাপুর, বরাশুলা, উজিরপুর, বিজয়পুর, মাছিমদিয়া, দক্ষিন নড়াইল, তালসারি গ্রামের সড়কগুলোর।
এ সব এলাকার বেশির ভাগ সড়কের পিচ উঠে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে, সকড়গুলো দেখলে বুঝার উপায় নেই যে সেগুলো পিচ ঢালাই সড়ক নাকি মাটির সড়ক। সড়কে ইজিবাইক, ভ্যান, প্রাইভেটকারসহ সকল প্রকার যানবাহন চলছে ঝুকি নিয়ে। বছরের পর বছর চলাচলের অনুপযোগী এ সকল সড়ক মেরামতের কোন পদক্ষেপ নেয়নি পৌরসভা।
১৯৭২ সালে প্রথমে তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে 'গ' শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে গঠিত হয় নড়াইল পৌরসভা। এরপর ১৯৯৯ সালে 'ক' শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয়। বর্তমানে ৯টি ওয়ার্ডে ২২টি মৌজা নিয়ে গঠিত নড়াইল পৌরসভার আয়তন ২২ বর্গ কিলোমিটার। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের বসবাসের এই পৌরসভায় মোট সড়ক রয়েছে তিন শত একাত্তর কিলোমিটার, এর মধ্যে এক শত সাতাত্তর কিলোমিটার সড়ক কাঁচা আর এক শত চুরানব্বই কিলোমিটার সড়ক কাগজে কলমে পাকা হলেও মোট সড়কের মধ্যে পঁচাত্তর শতাংশ সড়কেরই বেহাল অবস্থা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইল পৌরসভার প্রশাসক জুলিয়া সুকায়না সড়কের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পর্যায় ক্রমে সড়কগুলো সংস্কার করার আশ্বাস দিয়েছেন।
দ্রুত এ সকল রাস্তা সংস্কার করে পৌর এলাকার লক্ষাধিক ভুক্তভোগীকে ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিবে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের।
শিহাব