ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

বাঁশখালীতে কাঁদায় আটকা পড়ে হাতি, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু 

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম 

প্রকাশিত: ১৬:১২, ২৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৬:১৬, ২৯ মার্চ ২০২৫

বাঁশখালীতে কাঁদায় আটকা পড়ে হাতি,  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু 

ছবি: জনকণ্ঠ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুইছডি ইউনিয়নের নাপোডা পাহাড়ি এলাকায় ২৩ দিন আগে কাদা থেকে উদ্ধার করা সেই হাতিটি শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। প্রায় ৪০ বছর বয়সী মা হাতিটি অপুষ্টির কারণে মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং তার বাম পা অবশ হয়ে গিয়েছিলো বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। 

চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী বিভাগের বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেছেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাডে ১১টার দিকে হাতিটি মারা যায়। ৬ মার্চ উদ্ধারের পর থেকে হাতিটি স্যালাইন খাচ্ছিল এবং কক্সবাজারের ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের একটি চিকিৎসা দলের অধীনে হাতিটির চিকিৎসা চলছিল।

তাছাড়া শ্রীলংকা ও ভারতে চিকিৎসকদের পরামর্শও নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে এটির শারীরিক সমস্যা সমাধানের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকও দিয়েছিল চিকিৎসকরা। এর আগে বন বিভাগ এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহায়তায় হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে বন বিভাগের অভয়ারণ্যে রেঞ্জ চট্টগ্রাম কতৃক এ সংক্রান্ত ব্রিফ করেন গণমাধ্যম কর্মীদের। 

বনবিভাগ সূত্রে জানাযায়,  গত ৫ মার্চ বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নের জঙ্গল নাপোড়া গহীন অরণ্যের বাইশ্যার জুম এলাকার ডোবায় হাতিটি আটকা ছিল। ৪০ বছর বয়সী হাতিটি ডোবায় আটকে পড়ায় তার বিভিন্ন অঙ্গ-পত্যঙ্গ অবশ হয়ে যায়। ৬ মার্চ দিনভর চেষ্টা করে এলাকাবাসীর সহায়তায় হাতিটিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা ও সেবা দেয় হয়। পরে ৭ মার্চ থেকে চিকিৎসা খাদ্য ও পরিচর্যা শুরু করে বন বিভাগ।

সর্বশেষ ১২ মার্চ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত প্রফেসর ডাঃ বিবেক, সিভাসো চট্টগ্রামের তত্বাবধানে চার চিকিৎসকের মেডিক্যাল টিম সরেজমিনে এসে হাতিটির চিকিৎসা করেন এবং প্রতিনিয়ত তদারকি করেন।

বন বিভাগের জলদী অভয়ারণ্যে রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ বলেন, দেশীয় চিকিৎসক ছাড়াও ইন্ডিয়া ও শ্রীলংকান বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা ও অন্যন্য সেবা দিয়েও হাতিটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হাতিটি মারা যায়। মৃত হাতিটির ময়নাতদন্ত শেষে পাহাড়ি এলাকায় মাটি চাপা দেয়া হবে বলেও তিনি জানান। 

শহীদ

×