
ছবি: জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীর বাউফলে চাঁদা না দেওয়ায় হেলাল উদ্দিন হাওলাদার (৪৮) নামের এক পল্লীবিদ্যুৎ কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের দেওপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় হেলাল উদ্দিনকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বরিশালের উজিরপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার হিসেবে কর্মরত আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার মাস আগে দেওপাশা গ্রামের এনামুল গং হেলাল উদ্দিনের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় এনামুল গংরা দেওপাশা বাজারে হেলাল উদ্দিন খানের মালিকানাধীন একটি দোকানঘরের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী আনিস সিকদারকে জোরপূর্বক বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল উদ্দিন তার বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে চাচাতো ভাই মজনু হাওলাদারের বাসায় যান। এ সময় এনামুল দলবল নিয়ে এসে হেলাল উদ্দিনের কাছে আবারও চাঁদার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে তর্কবিতর্ক হলে এনামুল গংরা লাঠি ও লোহার পাইপ দিয়ে হেলাল উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর জখম করে।
হেলাল উদ্দিনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, "আমার ও আমার স্ত্রীর ঈদের বেতন- বোনাসের প্রায় আড়াই লাখ টাকা পকেটে ছিল। মারধর করে সেই টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে এনামুল গং।"
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এনামুল হক বলেন, "হেলাল হাওলাদারের সঙ্গে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এই বিরোধের জের ধরে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।"
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, "এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সায়মা ইসলাম