
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় ৫০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ঐতিহাসিক নিদর্শন কালারমার জামে মসজিদ মোগল আমলের একটি স্থাপনা। এটি শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং ইতিহাস, সংস্কৃতি ও লোকবিশ্বাসের এক জীবন্ত সাক্ষী। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে আসেন, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন থানা ও গ্রাম থেকে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে আসেন।
মসজিদটির প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে কোনো লিখিত ইতিহাস নেই। তবে জনশ্রুতি আছে, এক ব্যক্তি তার মৃত স্ত্রীর স্মৃতিতে পুত্র কালার নামে এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখান থেকেই এর নামকরণ হয় 'কালারমার মসজিদ'। স্থানীয়দের মতে, এখানে জিন ও অদৃশ্য শক্তির উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বহু মানুষ এই মসজিদে আসেন। অনেকেই বিশ্বাস করেন, এখানে দোয়া করলে এবং ইবাদত করলে বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ২০০৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত মসজিদের খতিব দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জানান, মসজিদটি শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। অনেকেই একে অলৌকিক বলে থাকেন, কারণ দিন দিন মানুষের আসক্তি কমার বদলে আরও বাড়ছে।
এখানে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর হয়, মানুষ আল্লাহর কাছে চাওয়া-পাওয়ার বিষয়ে আরও নিবেদিত হয়। শরীর ও মন দুটোই প্রশান্ত হয়। অনেকেই মনে করেন, এটি 'মকবুল' (কবুল হওয়া) মসজিদগুলোর একটি। ইসলাম অনুযায়ী, কিছু কিছু মসজিদ বিশেষ মর্যাদা পেয়ে থাকে, যা প্রতিষ্ঠাতার আন্তরিকতা ও আল্লাহর রহমতের
শিলা ইসলাম