ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে সংবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ রিপোর্টার,সাতক্ষীর

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২৯ মার্চ ২০২৫

চাকরির প্রলোভনে তরুণীকে সংবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ভারতে অনেক টাকার বেতনের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে এক তরুণীকে সাতক্ষীরায় এনে সংবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার  বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। 

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ-ওসি হাফিজুর রহমান জানান, গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত জেলার কালীগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় তাকে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে  মেহেদি হাসান ওরফে সবুজ (২৪), তাঁর ভাই সাকিব হোসেন (২০) ও মো. গোলাম রসুল ওরফে রাকিব (২১) কে গ্রেপ্তার করা হয়।  তাদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তার বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়। পেশায় তিনি একজন মডেল ও পার্লারের রূপবিশেষজ্ঞ। কয়েক দিন আগে ফেসবুকে তার সঙ্গে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠুনিয়া গ্রামের গোলাম রসুলের পরিচয় হয়। কয়েক মাস কোনো কাজ না থাকায় তিনি বাড়িতে বেকার বসে ছিলেন। গোলাম রসুলের সঙ্গে পরিচয়ের একপর্যায়ে সে ভারতে কাজের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান। পরে ২২ মার্চ তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ বাস টার্মিনাল থেকে মেহেদি হাসান ও গোলাম রসুল তাঁকে নিয়ে মেহেদির বাড়িতে নিয়ে রাখেন।

ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, রবিবার মেহেদির বাড়ি থেকে তাঁকে কদমতলা গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামের একজনের বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে খাবারের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে অচেতন করার পর একে একে কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন সোমবার তাঁকে শ্যামনগর উপজেলার কুলতলী গ্রামে একজনের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। মঙ্গলবার আবার তাঁকে কয়েকজন ধর্ষণ করেন। এরপর ফের তাঁকে মেহেদির বাড়িতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁর কাছে থাকা মুঠোফোন দিয়ে ৯৯৯ নম্বর কল করলে দুপুরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

কালীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল রশিদ মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে   থানায় মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। 

কালিগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার- এস আই তাপস ঘোষাল জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদেরও নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। দ্রুতই সব অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে। 

মুমু

×