
দোকানে যুবদল নেতার দেওয়া তালা খুলে দিলেন যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ
কুয়াকাটায় পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লীর ছেলে যুবদল নেতা রিয়াজ মুসল্লীর নেতৃত্বে মোল্লা মার্কেটের ছয়টি দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনা দৈনিক জনকন্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে প্রকাশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির একাংশ এবং পৌর যুবদল ও ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত পৌনে দশটার দিকে ওই তালা ভেঙে দোকান খুলে দিয়েছেন। ফলে ঈদের বেচা-কেনাসহ ব্যবসা বন্ধের শঙ্কা কেটে গেছে ওইসব ব্যবসায়ীর।
নেতৃবৃন্দ দাড়িয়ে থেকে যার যার দোকান খোলার পরে প্রত্যেককে দোকান বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারা বেচা-কেনাও করেছেন। এসময় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোঃ ফারুক, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সোহেল, দপ্তর সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিকী মোল্লাসহ দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দ মোঃ ফারুক জানান, দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদারের নির্দেশে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, জমির বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে মামলাও চলমান রয়েছে। যারা ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন দোকান করে আসছে তারা কেন হয়রানির শিকার হবেন? ঈদের আগ মুহুর্তে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। আদালত থেকে মালিকানার জটিলতা শেষ হলে ওই মালিকের সাথে ব্যবসায়ীরা সমস্যার সমাধান করবেন। কুয়াকাটা বিএনপির একাংশ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের তড়িৎ এমন সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার ভোরে সৈকত লাগোয়া মোল্লা মার্কেটের ছয়টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয় কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতির ছেলে যুবদল নেতা রিয়াজ মুসল্লীসহ তাদের লোকজন। দোকানিরা জানান, রাতে দোকানপাট বন্ধ করে বাসায় গিয়ে পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখেন দোকানের ঝাপে তাদের তালার উপরে নতুন তালা লাগানো রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মুসল্লীর নেতৃত্বে এ দোকানে তালা দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দলের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
মোল্লা মার্কেটের মালিক দাবিদার বেল্লাল মোল্লা বলেন, ‘এই জমি আমি ২৬-২৭ বছর আগে কিনেছি। এরপরও তো বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তখন দখল নেয়নি কেন? এ নিয়ে বহুবার কাগজপত্র নিয়ে বসা হইছে। আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তার দাবি গায়ের জোরে তার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা দেওয়া হয়েছে।’
রিফাত