ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

সৎ ও যোগ্য নেতা বানান, উন্নয়ন কাকে বলে আমরা দেখিয়ে দিব: ফারুক হাসান

প্রকাশিত: ০০:১৯, ২৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:২০, ২৯ মার্চ ২০২৫

সৎ ও যোগ্য নেতা বানান, উন্নয়ন কাকে বলে আমরা দেখিয়ে দিব: ফারুক হাসান

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান গতকাল তার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় জনগণকে বলেন, "এবার সৎ, যোগ্য নেতা বানান, উন্নয়ন কাকে বলে আমরা দেখায় দিব।"

ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, "আমি ফারুক হাসান যদি এলাকায় নির্বাচিত হতে পারি, এই এলাকার জন্য ১০০ টাকা বাজেট হলে ওই ১০০ টাকা লাহরি বাজারে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ। এবার সৎ নেতা বানান। যোগ্য নেতা বানান। উন্নয়ন কাকে বলে আমরা দেখায় দিব।"

তিনি আরো বলেন, "ওই ১০০ টাকা লাহরি বাজারে আস্তে আস্তে ৯০ টাকা নেতা গায়েব করে ফেলে। ১০ টাকা পৌঁছায় ঠিক। এজন্য আজকে আমার এই এলাকার এই অবস্থা। নেতা যদি ৯০ টাকা খেয়ে ফেলে তাহলে এলাকার কাজটা কি হবে বলেন?"

ফারুক হাসান বলেন, "সেকেন্ড রিপাবলিক যখনই বলবেন তখন আপনি আর সংস্কারের কথা বলতে পারবেন না। সংস্কার, সেকেন্ড রিপাবলিক এই দুটো বিষয় একসাথে কখনোই চলতে পারে না। এই বিদ্যমান সংবিধানের ওপর হাত রেখে শপথ নিলেন। যেদিন আপনি শপথ নিয়েছিলেন, সেদিন আপনার মনে ছিল না?"

তিনি আরও বলেন, "আমার কথা পরিষ্কার। আমি ফারুক হাসান যদি এলাকায় নির্বাচিত হতে পারি, এই এলাকার জন্য ১০০ টাকা বাজেট হলে ওই ১০০ টাকা লাহরি বাজারে পৌঁছাবে ইনশাআল্লাহ। এক টাকাও আমার পকেটে পৌঁছাবে না। আজকে প্রত্যেকটা মসজিদের জন্য বাজেট হয়েছে ৩ লাখ টাকা করে। আমি ৩ লাখ টাকার একবারে সভাপতির হাতে তুলে দিয়ে আসলাম। এক টাকাও কিন্তু ওই ফারুক হাসানের পকেটে যায়নি।"

"তো এটা আমার কমিটমেন্ট। আমার ওয়াদা। আপনারা বাস্তবে সেই প্রমাণ কিন্তু পাবেন ইনশাআল্লাহ।"

ফারুক হাসান বলেন, "যে নেতা পকেটে রাখবে আর এসে বলবে এক লাখ টাকা নেন, নো। তো সেই কাজটা আমরা করছি। আপনাদের দোয়া, সহযোগিতা দরকার।"

তিনি বলেন, "বিগত সময়ে অনেক নেতা বানিয়েছেন, অনেক নেতাকে ভোট দিয়েছেন। কে কি করেছে সেটা কিন্তু প্রমাণিত। আমরা সেদিকে যেতে চাই না। আমি শুধু একটাই কথা বলতে চাই, এবার সৎ নেতা বানান, যোগ্য নেতা বানান। উন্নয়ন কাকে বলে আমরা দেখায় দিব।"

ফারুক হাসান আরো বলেন, "আজকে যারা নতুন নেতৃত্বে আসছে, এরা গণপরিষদের কথা বলে, নতুন সংবিধানের কথা বলে। আবার ওই সেকেন্ড রিপাবলিক ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি মনে করি, এগুলো একেবারে ভুয়া আলোচনা। এই গণপরিষদ, নতুন সংবিধান, নতুন রিপাবলিক বা সেকেন্ড রিপাবলিক এগুলো বলতে তারা কি বুঝেন আর জনগণকে কি বুঝাতে চান, আমরাও জানি না, তারা নিজেরাও জানে না।"

তিনি প্রশ্ন করেন, "সেকেন্ড রিপাবলিক যখনই বলবেন, তখন আপনি আর সংস্কারের কথা বলতে পারবেন না। সংস্কার, সেকেন্ড রিপাবলিক এই দুটো বিষয় একসাথে কখনোই চলতে পারে না। আপনারা একদিকে বলছেন সংস্কার করব, আরেকদিকে বলছেন আমরা এই সংবিধান চাই না। নতুন সংবিধান চাই। সেকেন্ড রিপাবলিক চাই। এগুলো তো হাস্যকর কথা ভাই।"

ফারুক হাসান বলেন, "আজকে যখন আপনি সেকেন্ড রিপাবলিক বা নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, তাহলে আপনি কেন এই বিদ্যমান সংবিধানের ওপর হাত রেখে শপথ নিলেন? যেদিন আপনি শপথ নিয়েছিলেন, সেদিন আপনার মনে ছিল না? আরে এই শেখ হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমরা বিপ্লব করেছি?"

তিনি আরো বলেন, "তাহলে আপনি একটা সংবিধান ফেলে দিয়ে বিপ্লব করলেন। বিপ্লবের পরে সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এমপি হওয়ার জন্য, মন্ত্রী হওয়ার জন্য বাগবাকুম বাগবাকুম করে সেই ফেলে দেওয়া সংবিধান ডাস্টবিন থেকে তুলে এনে ওই সংবিধানের হাতে হাত রেখে আপনি শপথ নিলেন মন্ত্রী হলেন। আর মন্ত্রীর সাত মাস পেরিয়ে আজকে যখন জনগণের দায়িত্ব আপনি পালন করতে ব্যর্থ হচ্ছেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারছেন না, তখন বলছেন এই সংবিধান হবে না। এই সংবিধান দিয়ে কোন পরিবর্তন আসবে না। হোয়াট ইজ দিস? এগুলো তো জনগণের সাথে প্রতারণা!"

তিনি আরও বলেন, "আপনারা কি করতে চান সেটা পরিষ্কারভাবে জনগণের সাথে তুলে ধরেন। আপনারা গণপরিষদের কথা বলছেন, গণপরিষদ নির্বাচন কিভাবে হবে, কোন প্রক্রিয়া হবে? তার কোন রোডম্যাপ আছে? এই সরকারকে রোডম্যাপ দিতে বলেন তারা এখন পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের যে কথা বলেছে, এটাই ক্লিয়ার না।

আফরোজা

×