
মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ৯ পরিবারকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই উপহার নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান। এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নিহতের স্বজনরা। বিচার দাবি করেন এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাদারীপুর জেলার ১৮ জন নিহত হয়। এরমধ্যে মাদারীপুর- ০২ আসনে রয়েছে ৯ জন। তারেক রহমানের নির্দেশে নিহতদের পরিবারকে এই আর্থিক সহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সোহরাব খান, যুগ্ন আহবায়ক জামিল হোসেন মিঠু, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুনমুন আক্তারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে মাদারীপুরে নিহত রাজমিস্ত্রী তাওহীদ সন্ন্যামাত (২১) সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সুচিয়ারভাঙ্গা গ্রামের সালাউদ্দিন সন্ন্যামাতের ছেলে, রোমান বেপারী ঘটমাঝি ইউনিয়নের ভদ্রখোলা গ্রামের আমর বেপারীর ছেলে ও নিহত দিপ্ত দে (২২) মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনী এলাকার স্বপন দের ছেলে ও মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল। বাকিরা আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে রাজধানী ঢাকায় মারা গেছেন।
এসব ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-০১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই আলম লিটন চৌধুরী, মাদারীপুর-০২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, মাদারীপুর-০৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউন্দিন নাছিম, মাদারীপুর-০৩ আসনের আরেক সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়। মাদারীপুর ও রাজধানী ঢাকায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।
রাজু