
ছবি : সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হওয়ায় তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া জটিলতার মুখোমুখি হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরও বেশ কিছু আসামিকে আটক করা সম্ভব হয়নি, যা নিয়ে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ তাজের নেতৃত্বে অভিযোগ তদন্ত কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাইবুনালের গোপনীয় নথি বারবার ফাঁস হওয়ায় প্রসিকিউশন টিম বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। চিফ প্রসিকিউটর স্পষ্ট করে বলেন, "শত্রুর সাথে বসবাস নয়—যারা তথ্য ফাঁসের সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি জানান, প্রসিকিউশন টিম, ট্রাইবুনালের কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি যদি এতে জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার "পলায়নের দিন" রাজধানীর চাঁখারপুলে সাতজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। চিফ প্রসিকিউটর জানান, হত্যাকারীকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ঈদের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে।
শেখ হাসিনার সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ঈদের পর ট্রাইবুনালে জমা দেওয়া হবে। আশুলিয়ায় ৬ মরদেহ পোড়ানোর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন ২৮ এপ্রিলের মধ্যে চাওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সত্ত্বেও আসামিদের ফাঁস হওয়া তথ্যের সুবিধা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রাইবুনাল ও তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন কঠোর নজরদারি ও অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালাচ্ছে, যাতে কোনোভাবেই আসামিরা আইনের ফাঁক দিয়ে রেহাই না পায়।
সূত্র:https://youtu.be/0T1Z16ZDLmg?si=bc-0HY3oetdRQvJ-
আঁখি