
ছবি:সংগৃহীত
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার শতাধিক গ্রামে নান্দনিক ডিজাইনের টুপি তৈরি করা হয়, যা বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়। প্রতিটি টুপি তৈরি করতে একজন কারিগরের এক থেকে দুই দিন সময় লাগে এবং তারা দিনে তিন থেকে চারটি টুপি তৈরি করেন। প্রতি টুপি তৈরির জন্য তারা ৭০ থেকে ৮০ টাকা মজুরি পান। স্থানীয় পাইকাররা এই টুপি ওমানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করেন।
প্রায় ৫০০০ পরিবার সরাসরি এই পেশার সাথে যুক্ত, তবে আরও কয়েক হাজার পরিবার এ কাজের উপর নির্ভরশীল। নারীরা সংসারের কাজের পাশাপাশি টুপি তৈরি করে অতিরিক্ত আয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। এক নারী বলেন, “আমি এখানে টুপির কাজ করছি। এই টুপি তৈরির মাধ্যমে আমাদের বাড়তি আয় হচ্ছে। আমরা শিখানোর পর কাজের ফাঁকে ফাঁকে টুপি তৈরি করি।”
এই টুপির উচ্চমান এবং শিল্পিকতার কারণে এটি ওমানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, এবং ব্যাংকের মাধ্যমে এর মূল্য পরিশোধ করা হয়, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকার সরাসরি রপ্তানি ব্যবস্থা চালু করলে কারিগররা আরও ন্যায্য মূল্য পেতে পারতেন এবং কুটির শিল্প হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো।
মহাদেবপুরে প্রায় ৪০০০ নারী টুপি তৈরির কাজের সাথে সরাসরি যুক্ত, এবং এর ফলে তারা বাড়তি আয় করতে সক্ষম হচ্ছেন। বিশেষ করে ঈদের সময়, রমজান মাসে এই পেশাটি আরও প্রসারিত হয়। উদ্যোক্তারা আরও চান, সরকার এই শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিক, যাতে এটি আরও সমৃদ্ধ ও প্রতিষ্ঠিত হয়।
সূত্র :https://youtu.be/_EQgF7r8yUU?si=nhLFShbwKthKsavG
আঁখি