
ছবি: জনকণ্ঠ
আওয়ামী লীগের পতনের আট মাস পরেও তেগাছিয়া-সোনাতলা খেয়া পারাপারে যাত্রীদের জিম্মিদশার অবসান হয়নি। জনপ্রতি পাঁচ টাকার পরিবর্তে জোর করে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ১০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিগত সরকারের চাঁদা আদায়ের এই সিস্টেমকে আরেক রাজনৈতিক দলের অনুসারিরা সচল রেখেছেন। বিষয়টি নিয়ে মানুষ একান ওকান আলোচনা করছেন। প্রশ্ন করছেন, এর শেষ হবে কবে?
খেয়ার চালকের দেওয়া তথ্যমতে, সোনাতলা নদী পার হয়ে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ শ’ মানুষ খেয়া পারাপার হয়। আর তাদের কাছ থেকে পাঁচ টাকা করে আদায় করা হলে দৈনিক অন্তত আড়াই হাজার টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হচ্ছে। মাসে ৭৫ হাজার, বছরে কমপক্ষে নয় লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চাঁদাবাজ চক্রটি।
খেয়া আদায়কারী সজিব সোজাসাপটা জানালেন, “আওয়ামী লীগের লোকজন নাই, এখন আমরা চালাই।” স্থানীয় গোলবুনিয়া গ্রামের গাজী বাড়ির দুই জন খেয়া চালান। সাধারণ মানুষ ভয়ে, মান-ইজ্জত নষ্টের শঙ্কায় এখন আর প্রতিবাদ কিংবা অনুযোগ, ক্ষোভ কোনোটাই তেমন জানায় না। তাদের অনেকের প্রশ্ন, গত এক যুগ ধরে বলতে বলতে কখনো কয়েকদিন ঠিক ছিল, আবার যেই সেই!
স্থানীয়রা জানান, দিনে যাত্রীপ্রতি ১০ টাকা নিলেও রাতে নেওয়া হয় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বেশি। আবার মোটরসাইকেল পারাপার করলে নেওয়া হয় ৪০-৫০ টাকা। এভাবে নীরবে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে বছরে নয়-দশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এই চাঁদাবাজির প্রক্রিয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগীরা এর অবসান চান। পাশাপাশি, খেয়াঘাটে পারাপারের একটি নির্ধারিত রেট চার্ট টানানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি নিরসনে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেবেন।
এম.কে.