ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

নড়াইলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৩ কর্মী গ্রেপ্তার

শরিফুল ইসলাম। নড়াইল।। 

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ২৬ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২৩:৩১, ২৭ মার্চ ২০২৫

নড়াইলে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৩ কর্মী গ্রেপ্তার

নড়াইল পৌরসভার রেলস্টেশন এলাকায় হাবিবুর রহমান (৩২) নামে এক ফুল ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাকালে তিন ছাত্রলীগকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন, পৌরসভার ভওয়াখালীর হাবিবুর রহমান ভূইয়ার ছেলে মো. সাফাত ভূইয়া (১৯), একই এলাকার মতিয়ার মাস্টারের ছেলে মুন (২০) ও হাফিজ শেখের ছেলে জাবির শেখ (১৭)। আসামিরা প্রত্যেকেই জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলমের অনুসারী। অন্যদিকে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান সদর উপজেলার লস্কারপুর গ্রামের গোলাম রব্বানি মোল্যার ছেলে। 

এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাফাতকে বুধবার (২৬ মার্চ) আদালতে উপস্থিত করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নয়ন বিশ্বাস। আবেদন মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন। 

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ শে মার্চ) ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টাকালে আসামি সাফাতকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। এসময় গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপ-পরিদর্শক নয়ন বিশ্বাস। এদিকে আজ বুধবার অভিযান চালিয়ে অপর দুই আসামি জাবির শেখ ও মুনকে গ্রেফতার করা হয়। 

এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এসময় ঘটনাস্থল থেকে আসামি সাফাতকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ (বুধবার) তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে অভিযান চালিয়ে আরও দুই আসামি মুন ও জাবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২৫ মার্চ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানকে পৌরসভার দূর্গাপুর এলাকা থেকে কৌশলে তুলে নিয়ে ভওয়াখালী রেলস্টেশন এলাকায় আটকে রাখে আসামিরা। এসময় ভুক্তভোগীর নিকটে থাকা পাঁচ হাজার টাকা ছিনতাই করে তারা। এছাড়াও দুই লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর স্বজনদের নিকট ফোন করতে থাকে আসামিরা। পরে সদর থানা পুলিশকে এ বিষয়ে অবহিত করা হলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। এসময় আসামি সাফাতকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তবে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

আফরোজা

×