ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

ইসলামি জীবন ধারণ করতে উচ্চাভিলাষীতা জলাঞ্জলি দিয়েছেন অধ্যাপক মুজিবুর

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:০৪, ২৬ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২২:১০, ২৬ মার্চ ২০২৫

ইসলামি জীবন ধারণ করতে উচ্চাভিলাষীতা জলাঞ্জলি দিয়েছেন অধ্যাপক মুজিবুর

ছবি: জনকণ্ঠ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। এ্যারাবিক এবং ফার্সি ভাষায় কোর্স করেছেন। এছাড়াও এ যুগের সোনার হরিণ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু ইসলামী দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষে সেই চাকুরিও সেক্রিফাইস করেছেন। পেশাগত জীবনে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে। ৩০ টি ইসলামি জীবন ধারার বই লিখে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন। নিজের জীবনকে সাজিয়েছেন ইসলামি রঙে।

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতিও ছিলেন তিনি। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী -তানোর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ১৯৮৮ সালে। এমপি থাকাকালীন জাতীয় সংসদে নামাজের বিরতি এবং শোক প্রস্তাবে মুনাজাতের বিধান প্রচলন করেন। সত্যিকার অর্থে ইসলামী আন্দোলনকে যারা চিনেছে, বুঝতে পেরেছে তারা জীবনের সমস্ত মায়া ত্যাগ করেছে। দুনিয়াবী লালসা তাদের স্পর্শ করতে পারে নি। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েও রবকে ভয় করেছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এমন কিছু নেতৃত্ব তৈরি করতে পেরেছে বলেই সংগঠন সমস্ত কিছুর পরও হিমালয়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। মহান আল্লাহ মুহতারামের হায়াতে বরকত দান করুন৷ তাকে সমস্ত মুসিবত থেকে হেফাজত করুন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এর কথা এভাবেই বলছিলেন রাজশাহী জেলা আমীর আব্দুল খালেক।

গোদাগাড়ী মডেল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মামনুর রশীদ বলেন, ইসলামি জীবন ব্যবস্থায় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান একজন অকুতোভয় সৈনিক। তিনি বিগত সরকারের আমলে বারবার মামলা-হামলার শিকার হয়েও ইসলামের প্রতি অটুট থেকেছেন। গোদাগাড়ী-তানোরের জনগণ এমনই একজন মানুষকে নেতা হিসেবে চাই। মানুষ শোষিত হয়েছে বিগত সরকারের আমলে। এর ফলশ্রুতিতে সৎ নেতৃত্ব, সৎ মানুষকে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই জনগণ। মানুষ এখন বুঝতে শিখেছে।

শহীদ

×