ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১

মাদারীপুরে মানবপাচার মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন 

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ও শিবচর 

প্রকাশিত: ১৯:১১, ২৬ মার্চ ২০২৫

মাদারীপুরে মানবপাচার মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন 

মানববন্ধন, ছবি: জনকণ্ঠ

মাদারীপুরে সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি মানবপাচার মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

বুধবার  (২৬ মার্চ) দুপুরে শিবচর উপজেলার সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা এলাকার বাসিন্দা জুয়েল রানা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রামপুরা থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় শিবচরের রাজারচর মোল্লাকান্দি গ্রামের শুক্কুর বেপারীর ছেলে ও  সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য লালমিয়া বেপারী এবং তার দুইভাই চাঁন মিয়া বেপারী ও হেয়ায়েত উদ্দিন বেপারীকে। 

এই মামলায় গত ১৬ ফেব্র“য়ারি শিবচরের পাঁচ্চর থেকে লাল মিয়া বেপারীকে গ্রেফতার করে রামপুরা থানা পুলিশ। পরে মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর খোঁজ নিলে স্বজনরা আরো একটি মানবপাচার মামলার সন্ধান পান। ২৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতয়ালী থানার গোয়ালচামট এলাকার আব্দুল সাত্তারের ছেলে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে ঢাকার গুলশান থানায় মামলাটি করেছে। 

সেই মামলাও সাবেক ইউপি সদস্য ও তার দুইভাইকে আসামি করা হয়। এই দুটি মামলায় যথাক্রমে ৪ ও ৭ জন আসামি রয়েছেন। কোন কারণ, তদন্ত বা নোটিশ ছাড়া সাবেক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার ও মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। দ্রুত এই মানবপাচার মামলা দুটি প্রত্যাহার করে গ্রেফতার লাল মিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তারা। তা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা। মামলার এজাহারে বলা হয়, ইতালি নেয়ার কথা বলে বাদী ও বাদীর বন্ধুদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নেন আসামিরা। পরে ইতালি নিতে ব্যর্থ হলে আদালতে মামলা দুটি দায়ের করেন। আদালত শুনানী শেষে দুটি মামলাই থানা পুলিশকে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন।

এ সময় সন্ন্যাসীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কহিনুর হাওলাদার, গ্রেফতার লাল মিয়া বেপারীর মেয়ে মারিয়া আক্তার, স্থানীয় বাসিন্দা হেমায়েত উদ্দিনসহ এলাকার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গুলশান থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, ‘বাদী ও আসামিরা পূর্বে পরিচিত কিনা সেটা জানা নেই। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়া হবে। তবে, ঘটনার সত্যতা না পাওয়া গেলে কাউকেই হয়রানী করা হবে না।’

শহীদ

×