মহান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় ধারণ করে। বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সৈয়দপুর আল ফারুক একাডেমিতে এক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসন মুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আজ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি হিসাব করলে দেখা যায় বহু প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি।
গত জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশ আবার নতুন করে দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীনতা অর্জন করেছে। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা জালিমের হাত থেকে মুক্ত হয়ে দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে এবং শান্তিতে-স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছে।
অফিস সম্পাদক রেজওয়ান হাসানের সন্চালনায় তিনি আরও বলেন, পতিত সরকারের দোসররা এবং দেশের কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির সহায়তায় ছাত্র-জনতার এই গণআন্দোলনকে ব্যর্থ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। শহর শাখার আমির শরফুদ্দিন খান বলেন, দেশকে আবার অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে এবং পতিত স্বৈরাচারকে ফিরে আনার অপতৎপরতা শুরু করেছে।
এমতাবস্থায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। শান্তি-স্বস্তির নতুন বাংলাদেশ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামি সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম, শহর জামায়াতের বায়তুল সম্পাদক আলহাজ্ব মোখলেছুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষক ও সাংবাদিক সাহাবাজ উদ্দিন সবুজ, অফিস সম্পাদক আবু বকর প্রমুখ।
এম আর মহসিন।
আফরোজা
