
ছবি:সংগৃহীত
ঈদুল আজহাকে ঘিরে মাংসের বাজারে চাহিদা ও দাম বেড়ে চলেছে। গরু, খাসি, মুরগি ও মাছের দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি সাধারণ ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে গরু ও খাসির মাংসের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, অন্যদিকে মুরগি ও মাছের দামেও পাল্লা দিয়ে বাড়তি দেখা যাচ্ছে। তবে ডিমের দাম স্থিতিশীল থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে।
রাজধানীর বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫০ টাকা। খাসির মাংসের দাম বেড়ে কেজি ১২০০ টাকায় পৌঁছেছে। বিক্রেতাদের দাবি, গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা বাধ্য হচ্ছেন বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে।
একজন গরুর মাংস বিক্রেতা বলেন, "একটি গরুর দাম আগের তুলনায় ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা বেড়েছে। তাই আমরা কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। রোজার প্রথম দিকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছি।"
গরু-খাসির পাশাপাশি ব্রয়লার, সোনালী ও লেয়ার মুরগির দামও কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রোজার শুরুতে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হতো ১৮০-১৯০ টাকায়, যা এখন ২২০ টাকায় পৌঁছেছে। বিক্রেতাদের অভিযোগ, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও চাঁদাবাজি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে দাম বাড়ছে।
এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "১০,০০০-১২,০০০ টাকা বেতনে চাকরি করা মানুষের পক্ষে এ দামে মাংস কেনা সম্ভব নয়। এবার হয়তো শুধু মুরগি খেয়েই ঈদ করতে হবে।"
অন্যদিকে, ডিমের বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১২০ টাকায় রয়েছে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে।
দাম বৃদ্ধির এই প্রবণতায় সাধারণ মানুষ হতাশ। অনেকেই সরকারি পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঈদের আনন্দ যেন দামের দৌড়ে ম্লান না হয়, সে জন্য বাজার মনিটরিং জোরদারেরও তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে সচেতন ক্রয় ও সাশ্রয়ী বিকল্প বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে ভোক্তাদের।
সূত্র:https://youtu.be/4AAAGWbDSNs?si=9BsRYriYI0FXbt9q
আঁখি