ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১

আলুর দাম দিয়ে সারজিস আলমের স্ট্যাটাস

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৬ মার্চ ২০২৫

আলুর দাম দিয়ে সারজিস আলমের স্ট্যাটাস

ছবিঃ সংগৃহীত

সারজিস আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে আলুর দাম নিয়ে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, কৃষক এখন বাজারে প্রতি কেজি আলু পাইকারি ১০ টাকা করে বিক্রি করে। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয় গড়ে ২০ টাকা। অর্থাৎ এবার কৃষক আলুতে প্রায় অর্ধেক লস করছে। সেই জায়গায় অন্তত কেজিপ্রতি তারা যদি ২৫ টাকা পেত তাহলে তাদের জীবন চলা সম্ভব হতো। মাঠে কৃষকের উৎপাদন খরচ এবং দেশব্যাপী গ্রাহকের কেনার সামর্থ্যের মধ্যে সামঞ্জস্য প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। কৃষক যদি তাদের দাম না পায় তাহলে চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। পণ্যসংকট তৈরি হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। সেই হিসেবে কৃষক অন্তত ২৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করতে পারলে বাজারে খুচরা ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এই সামঞ্জস্য অতি জরুরি।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের রাখালদেবী, বামনকুমার, বালিয়া, লক্ষ্মীত্থানসহ বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ভ্যানে করে ঘুরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক  (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। 

এ সময় তাকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত খেত-খামারে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পঞ্চগড় সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি দিনের বেলা গণসংযোগ ও সন্ধ্যায় ইফতার শেষে রাতেও বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে নতুন দলটির জনসংযোগ করছিলেন। সে সময় আলু চাষিদের সাথে কথা বলার পর তিনি ওই স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

উত্তরাঞ্চলে গরম পড়েছে। পবিত্র রমজান মাসে মাথার উপর প্রচন্ড রোদ্র। তাপে শরীর থেকে ঘাম ঝরিয়ে ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন রোজা রেখে এক ঝাঁক নারী ও পুরুষ কৃষি শ্রমিক। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর প্রথমবারের মতো গতকাল সোমবার নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আসেন সারজিস আলম। প্রথমে ঢাকা থেকে বিমানে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে তিনি সড়কপথে নীলফামারী শহরের বাইপাস সড়ক অতিক্রম করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ যান। দেবীগঞ্জ থেকে শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে তিনি জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর করেন। 

সারজিস আলমের বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়। সারজিস আলমের এই শোডাউন আগামী নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রমান করে বলে অনেককে মন্তব্য করতেও শোনা যায়। গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) আটোয়ারী উপজেলার আটোয়ারী মডেল পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার সহস্রাধিক মানুষের সঙ্গে ইফতার করেন।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন গণসংযোগ করে সারজিস আলম ভ্যানে চড়ে তার নিজ বাড়ির আশপাশের গ্রামে যান। দুপুরে সারজিস আলম তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুকে গ্রামে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এবং ছবি পোস্ট করেছেন। সারজিস আলম লিখেছেন, জীবনের প্রথম ১৭ বছর এই মাটি ও মানুষের সাথে থেকে বেড়ে উঠেছি। এখানেই যেন চিরপ্রশান্তি। সরু আইল দিয়ে হেঁটে চলা, মাচায় বসে গল্প করা, ভ্যানে করে এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে যাওয়া, এগুলো যেন আমাদের চিরচেনা গল্প। এই গল্পগুলো শুনতে, শোনাতে এবং বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ইমরান

×