
ছবিঃ সংগৃহীত
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার সেননগর গ্রামে একঝাঁক উদ্যমী তরুণ প্রতি বছরের ন্যায় হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে মানবতার এ যাত্রায় তাদের সংগঠন 'তরুণ উদয় সমাজকল্যাণ পরিষদ' এবারও ১৩১টি পরিবারে মাঝে পৌঁছে দিয়েছে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল থেকে শুরু হয় প্যাকেটিং, যা আসরের আগেই শেষ হয়। এরপর সংগঠনের সদস্যরা বিনম্র ভালোবাসায় একে একে পরিবারগুলোর হাতে তুলে দেন ইফতার ও ঈদের উপহার। শুধু এক দিনের আয়োজন নয়, বরং দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনের উদ্যোক্তা মো. কিরন অর রশিদ বলেন, "প্রতি বছরের মত এবারও ১৩১টি হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি, এটা আমাদের জন্য পরম তৃপ্তির বিষয়। সমাজের দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের সংগঠনের মূল লক্ষ্য। শুধু ইফতার বিতরণই নয়, আমরা সেননগর গ্রামে প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইলচেয়ার সরবরাহ করেছি এবং অসহায় পরিবারের মেয়েদের বিয়েতে সহায়তা করেছি। এমনকি এ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসন্ন ঈদুল আজহায় (কোরবানির ঈদ) দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের জন্য একটি গরু কোরবানি করে মাংস বিতরণ করব ইনশাআল্লাহ। এই মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা আন্তরিকতার সঙ্গে পাশে থেকেছেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।"
এ সময় তরুণ উদয় সমাজকল্যাণ পরিষদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পল্লি চিকিৎসক মো. রমিজ উদ্দিন ঢালী, পল্লি চিকিৎসক মো. ফয়েজ আহমেদ সরকার, প্রকৌশলী মো. হিরন মিয়া, মো. নাজির হোসেন। এছাড়া এই মহতী উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন কার্যনির্বাহী সদস্য ও প্রবাসী প্রতিনিধি হিসেবে মাওলানা মিজানুর রহমান, মাওলানা মো. বিলাল হোসেন, মো. আনিছুর রহমান (আনাছ), মো. মানিক মিয়া ও মো. সেন্টু মিয়া প্রমূখ।
সংগঠনের সদস্যরা জানান, শুধু সংগঠনের সদস্যরাই নয়, সমাজের সব শ্রেণির মানুষ যদি এক হয়ে কাজ করে, তাহলে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জীবন আরও সহজ হয়ে উঠবে। তারা সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আপনারাও পাশে থাকুন, সহযোগিতা করুন, যাতে আমরা আরও বেশি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।"
এদিকে স্থানীয়রা তরুণ উদয় সমাজকল্যাণ পরিষদের এমন মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সমাজের কল্যাণে এমন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে, অসহায় মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে মনে করেন তারা।
ইমরান