
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রশাসনের অভিযান জরিমানার পরও থেমে নেই অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা।উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন অবাধে চলছে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন।প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ধলাই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে।
উপজেলার মখাবিল থেকে শুরু করে চৈত্রঘাট পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে বালু তুলে বিক্রি করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ। পাশাপাশি সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।এছাড়া পাহাড়ি ছড়া থেকেও বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, বর্ষা শুরু হলেই ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিতে পারে।
অপরদিকে বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভরাট করার জন্য কৃষিজমির উর্বর মাটি কাটার হিড়িক পড়েছে। এক্সকেভেটর যোগে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা হারাচ্ছে। এ নিয়ে গত দু’দিনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত রোববার ও সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে নদী, ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ফসলি জমি থেকে উর্বর মাটি কেটে বিক্রি ও স্থানান্তরের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখে অভিযুক্তদের জরিমানা করে তা আদায় করা হচ্ছে।শমশেরনগর ইউনিয়নের মরাজানের পার এলাকায় অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে স্থানান্তরের অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে গত রোববার সন্ধ্যায় আহাদ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সাথে মাটি কাটা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে সোমবার রহিমপুর ইউনিয়নের চানপুর এলাকা থেকে ধলাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে শাহান মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসব জরিমানা আদায় করেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডি.এম. সাদিক আল শাফিন অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযান পরিচালনা করে দু’দিনে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয়।অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মাখন চন্দ্র সূত্রধর এ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ খবর নিচ্ছি যেখানেই কৃষি জমির টপসয়েল বিক্রি এবং ধলাই নদী ও পাহাড়ি ছড়া-খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পাচ্ছি। তাৎক্ষণিক এদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাটি ও বালুখেকোদের বিরুদ্ধে প্রশাসন সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।এছাড়া নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।
আফরোজা