
ছবি: জনকণ্ঠ
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের সেবার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন নাগরিক কমিটি-টিআইবি বাগেরহাটের উদ্যোগে এবং অ্যাক্টিভ সিটিজেন্স গ্রুপ (এসিজি) এর।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকেলে এ সভা অনুষ্টিত হয়। হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক ডা: অসীম কুমার সমদ্দার। টিআইবি‘র এরিয়া কোঅর্ডিনেটর শেখ বশির আহমেদ এর সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক বাবুল সরদার।
আরও বক্তব্য রাখেন, ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবিএম. সাদি, ডা: দিব্যেন্দু সরকার, ডা: ফারুকুজ্জামান, ডা: দিপায়ন বিশ্বাস, হাসপাতাল সমাজসেবা অফিসার প্রবীর রায়, ওয়ার্ড মাস্টার মোল্লা নজরুল ইসলাম, সনাক সহ-সভাপতি ফিরোজা নাসরিন ডলি, সনাকের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক খান সালেহ আহমেদ, সদস্য মোরশেদুর রহমান সাগর, অসীমা ঘোষ, এসিজি সমন্বয়কারী ইসরাফিল সরদার, সহ-সমন্বয়কারী রেহেনা পারভীন, সদস্য মো: সাহেদ হাসান, হাফিজা খাতুন, ইয়েস সদস্য মো. মাহমুদ হাসান ছাকিব প্রমুখ।
সভায় বক্তাগণ বলেন, ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, বাগেরহাট এর সেবারমান বৃদ্ধি পেলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রত্যুল। জনবল সংকটে কাঙ্খিত সেবাপ্রদান ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ আইসিইউ দ্রুত চালু, ঔষুধ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, পরামর্শ সভায় রোগীদের সমস্যা মনোযোগ সহকারে শোনা; জরুরী বিভাগের সেবায় আরো আন্তুরিক হওয়া; পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ খাবারের মান বৃদ্ধি করা; রোগীদের টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও সুপারিশ করা হয়।
২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, বাগেরহাট এর তত্ত্বাবধায়ক ডা: অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, চিকিৎসকের ৫৮ জনের মধ্যে ২৫ টি পদ শুন্য। প্রায় অনুরূপ অবস্থা সেবিকা ও টেকিনিশিয়ান-সহ তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেনীর ক্ষেত্রেও। এত বেশী জনবল সংকট থাকা স্বত্ত্বেও আন্তরিকতার সাথে সর্বাধিক সেবাপ্রদান অব্যাহত আছে। চুরি বন্ধে সেবাগ্রহীতাদের সচেতনতার জন্য মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। হাসপাতালে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগদান করেছেন আবার অনেকে বদলী হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। চিকিৎসক সংকট এখনও রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে দশ শয্যার আইসিইউ সেবা আপাতত: বন্ধ রয়েছে।
তারপরও অর্থপেডিকস, ইএনটি, সার্জারীসহ অন্যান্য সেবা এবং নতুন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ চলমান। এছাড়া মরদেহ সংরক্ষণ এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। সেবাপ্রদানে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নাই। সেবার মানোন্নয়নে সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরিসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী। সকলের সহযোগিতায় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল, বাগেরহাট এর সেবারমান আরো বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শহীদ