
ছবি:সংগৃহীত
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী যে দায়িত্বশীলতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে, তা দেশ ও জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে। গতকাল (২৪ মার্চ) ঢাকা সেনানিবাসের সেনাপ্রাঙ্গণে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে (অফিসার্স অ্যাড্রেস) তিনি এ কথা বলেন। ঢাকার বাইরের সেনা কর্মকর্তারাও অনলাইনে এ আয়োজনে যুক্ত ছিলেন।
সেনাপ্রধান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সেনা সদস্যদের ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্ররোচনায় সাড়া না দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "কোনোভাবেই এমন কিছু করা যাবে না, যাতে উসকানিদাতাদের উদ্দেশ্য সফল হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি পেশাদার বাহিনী—এসব কার্যক্রম সম্পর্কে সরকার ও জনগণ জানে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "বর্তমানে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে, কিন্তু দেশে কোনো জরুরি অবস্থা জারি করা হয়নি। বিভ্রান্তিকর তথ্যে কান না দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে। সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা।"
সেনাপ্রধান বলেন, "সামনে ঈদুল ফিতর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে হবে। কোথাও কোনো অস্থিরতা দেখা দিলে তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।"
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকার পাশাপাশি ৫ আগস্ট-পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানোর জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব আমাদের প্রশংসা করেছেন।" এছাড়া, কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ইফতার আয়োজনে সহযোগিতার জন্য রামু সেনানিবাসকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি পিটারসের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে সেনাপ্রধান বলেন, "তিনি সেনাবাহিনীর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।"
সেনাবাহিনীর প্রধান তার বক্তব্যে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের ওপর জোর দেন, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মূল চেতনা হিসেবে বিবেচিত।
আঁখি