
ছবিঃ সংগৃহীত
২০২৪ সালের সিলেট বিভাগের বর্ষসেরা ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদ আহমেদ সজীব। সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ণমূলক ও দাতব্য সংস্থা ভলান্টিয়ারি সার্ভিস ওভারসিজ (ভিএসও বাংলাদেশ) এই অ্যাওয়ার্ড দেন।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণ, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, যুব ক্ষমতায়ন, নাগরিক শিক্ষা প্রসার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকার জন্য এই সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
সজিব ২০১৪ সালে নেত্রকোনায় তার বন্ধুদের সাথে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘শিশু ছায়া’ নামক সংগঠন। এর মাধ্যমে তিনি শিশুদের শিক্ষার উন্নয়ন, সহযোগিতা ও স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে থাকেন। এছাড়াও তিনি ২০২৪ সালের ফেনী-লক্ষ্মীপুরের বন্যায় নিপীড়িত মানুষের সহযোগিতায় ছিলেন অন্যতম সহযোগী। সজিব ও তার বন্ধুরা মিলে বন্যার্তদের ত্রাণ ও পূনর্বাসনে অর্ধকোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেন। ২০২২ সালের বন্যায় ও করোনা মহামারিতেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
বর্তমানে তিনি জাগো ফাউন্ডেশন এর volunteer for Bangladesh (VBD) এর খুলনা বিভাগের সভাপতি হিসেবে এসডিজি বাস্তবায়ন ও সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে সজিব বলেন, সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে বর্ষসেরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং সম্মানের। এই অর্জনের জন্য সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ স্বীকৃতি শুধু আমার একার নয়। এটি আমার পরিবার, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সকল স্বেচ্ছাসেবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এই স্বীকৃতি আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও নিষ্ঠার সঙ্গে সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবায় আগ্রহ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই শিখেছি, নিঃস্বার্থভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। এই শিক্ষা আমি প্রথম পেয়েছি আমার পরিবার থেকে। বিশেষ করে আমার শ্রদ্ধেয় আব্বার কাছ থেকে। তিনি কখনো স্বার্থের কথা চিন্তা না করে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন আমাদেরও সেই পথেই চালিত করেছেন। আমাদের উপদেশ দেওয়ার আগে তিনি নিজেই তা বাস্তবে অনুসরণ করতেন। অন্যের প্রতি সদয় আচরণ, সৎ পথে থাকার দৃঢ় সংকল্প এবং বিনয়ী থাকার শিক্ষা আমি তার কাছ থেকেই পেয়েছি। আমার এই পথচলায় পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং সহকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের সহযোগিতা ও ভালোবাসা আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে এবং সামনে এগিয়ে যেতে সাহস জুগিয়েছে। নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক, সমাজ হোক আরও সুন্দর, মানবতা হোক আরও সমৃদ্ধ।
ইমরান