
ছবিঃ সংগৃহীত
পবিত্র মাস রমজান প্রায় শেষের দিকে। অন্যদিকে ঈদ ঘনিয়ে আসছে। আর মাত্র ক'দিন বাকি। সারা দেশে ঈদের আমেজ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রাঙিয়ে তোলা হয় শপিং সেন্টারগুলো। সিলেটে সচরাচর সেই আমেজ একটু বেশিই থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। দশ-পনেরো রোজা থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও বিশ রমজানের পর থেকে এর তীব্রতা বেড়েই চলছে। দিন অপেক্ষা রাতের বেলায় জনসমাগম অধিক হয়ে থাকে।
ব্রান্ডের দোকান ছাড়াও ভিড় বেড়েছে নগরীর শপিংমল, বিপণি বিতান শো-রুমগুলোতে। নগরীর অনেক জায়গা রঙিন লাইট দিয়ে সাজিয়ে তুলা হয়েছে। ক্রেতারা প্রিয়জনের জন্য কিনছেন পোশাক, জুয়েলারি, জুতাসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ক্রেতা আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পণ্যে অফার দিচ্ছে অনেক শো-রুম। বিক্রেতারাও বলছেন ব্যবসা বেশ ভালো হচ্ছে। এবার মার্কেটে মেয়েদের পছন্দের পোশাকের মধ্যে রয়েছে আগানুর, সারারা ও হেনা ড্রেস। আর ছেলেদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ কাশ্মীরি পাঞ্জাবি।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর সবকটি শপিংমল ও শো-রুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কেনাকাটা। ফুটপাত থেকে বড় শপিংমল সবখানে ক্রেতাদের ঢল। শেষ সময়ের ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়াতেও। নতুন পোশাক ফিটিং ও তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
তবে, ক্রেতাদের অভিযোগ এ বছর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া ব্রান্ডের শপগুলো অধিক টাকা কামাচ্ছে রেইট বাড়িয়ে। অনেক শপ ঘুরে দেখা যায় মূল্যের মূল স্টিকারের উপর অন্য আরেকটি স্টিকারে মূল্য লিখা। এতে ক্রেতার মনে বাড়ছে সন্দেহ।
এদিকে, পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি হলেও জুতা, কসমেটিকসের দোকান গুলোতেও ক্রেতাদের কমতি নেই। বাহারি রং আর নকশায় সেজেছে দোকানগুলো। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের জুতা, কসমেটিকস খুঁজে নিতে ব্যস্ত।
ব্যবসায়ীরা জানান, দিন যত যাচ্ছে, ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে। অনেকে দাম কিছুটা কম পাওয়ার আশায় ঈদের আগেভাগে মার্কেটে আসছেন। এ বছর টি-শার্ট, সুতির পাঞ্জাবি ও জিন্সের প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি নারীদের শাড়ি ও মেয়েদের বিভিন্ন থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে।
শপিং করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইশিতা জানান, একটু আগে থেকেই মার্কেট করে ফেলছি। কারন জিনিস-পত্রের যে দাম, তাই ঈদের আগে আরও বাড়তে পারে। এবার জুতা, দুটি ড্রেস পাকিস্তানি থ্রি পিস নিয়েছি। পছন্দ হলে আরও দু-একটি নেবো।
নগরীর আলহামরায় শপিং করতে আসা মিথিলা আক্তার বলেন, এবার আমি দুটি ড্রেস কিনেছি, আব্বু আম্মুর জন্য পাঞ্জাবি আর শাড়ি কিনেছি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক নতুন কালেকশন এসেছে।
মধুবন সুপার মার্কেটে শপিং করতে আসা জিহাদ বলেন, এবার ঈদের মার্কেটে খুব ভীড়। নিজে পাঞ্জাবি কিনেছি এবং পরিবারের জন্য পোশাক কেনাকাটা করেছি। রাতে বেশ ঝামেলা তাই দিনে দিনে মার্কেট করে চলে যাচ্ছি। তবে তিনি এবার কাশ্মীরি পাঞ্জাবি কিনেছেন।
সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন বলেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, বাজার তত জমে উঠছে। ইফতার শেষে দোকান ও মার্কেটগুলোতে ক্রেতার ভিড় বেশি থাকে।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শপিং মলগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকেও পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
ইমরান