
রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত জ্বালানি খাতের স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে সৌরবিদ্যুতে ঝুঁকতে হবে বলে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সোমবার শহরের একটি অভিজাত হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথভাবে সভার আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা পরিবর্তন-রাজশাহী, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বিডব্লিউজিইডি। সভায় জ্বালানি খাতের বিকল্প সম্ভাবনা, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় বিকল্প জ্বালানি পরিকল্পনা বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিন-এর প্রধান সমন্বয়কারী মাহবুব আলম প্রিন্স এবং প্রচারাভিযান সমন্বয়কারী সাদিয়া রওশন অধরা। সাদিয়া রওশন বলেন, দেশের বার্ষিক বিদ্যুৎ চাহিদা প্রতিবছর ৬.৫ থেকে ৮.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫ শতাংশ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এ অনুসারে, বিদ্যুৎ চাহিদা ২০৩০ সালে ১২৮ টেরাওয়াট-ঘণ্টা, ২০৪১ সালে ২৩১ টেরাওয়াট-ঘণ্টা এবং ২০৫০ সালে ৩১৮ টেরাওয়াট-ঘণ্টায় পৌঁছাতে পারে। মাহবুব আলম প্রিন্স বলেন, দেশের শিল্প খাতের ছাদ ব্যবহার করে ৫ হাজার মেগাওয়াট ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা সম্ভব, যা বছরে ৮ হাজার ১০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। একইভাবে আবাসিক ভবনের ছাদে বছরে ৪৮ হাজার ৬২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মহিনুল হাসান। এছাড়াও অতিথি হিসেবে রাজশাহী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সপ্তর্ষী পাল, নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুল হক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএনকে নোমান ও ক্যাবের রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন। সভা সঞ্চালনা করেন পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদ ইবনে ওবায়েদ রিপন।