
ছবি:সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, "রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়ার ব্যাপারে আমাদের আপত্তি নেই, তবে আমরা মনে করি এটি দাপ্তরিক ভাষা (অফিশিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ) হওয়া উচিত। রাষ্ট্রভাষা না বলে দাপ্তরিক ভাষা বলা উচিত। দাপ্তরিক ভাষা এক বা একাধিক হতে পারে, সেটা আলাদা আলোচনার বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, যেমন ভারত, দাপ্তরিক ভাষা (অফিশিয়াল ল্যাঙ্গুয়েজ) ব্যবহার করা হয়, যা রাষ্ট্রভাষা নয়। আমরা এই প্রস্তাবের সাথে একমত হয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "জনপ্রশাসন সংস্কারের বিষয়ে আমরা ১১৩টি প্রস্তাবের সাথে পুরোপুরি একমত হয়েছি, ২৯টি প্রস্তাবে আংশিক একমত হয়েছি এবং ২২টি প্রস্তাবে আমরা একমত হতে পারিনি। মোট ১৪২টি প্রস্তাবে আমরা একমত বা আংশিক একমত হয়েছি। যেসব প্রস্তাবে আমরা একমত বা আংশিক একমত হয়েছি, সেগুলোর পাশে আমাদের মন্তব্য যুক্ত করা হয়েছে। যেসব প্রস্তাবে আমরা একমত হইনি, সেগুলোর কারণও উল্লেখ করা হয়েছে। সামনে আরও বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আমাদের মতামত আরও স্পষ্ট করব।"
সারোয়ার তুষার আরও উল্লেখ করেন, "বাংলাদেশের নাগরিকদের পরিচয় সংক্রান্ত প্রস্তাবের সাথে আমরা একমত হয়েছি। বিদ্যমান সংবিধানে জনগণকে 'বাঙালি' এবং নাগরিকদের 'বাংলাদেশী' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিভক্তিকে একীভূত করে উনারা প্রস্তাব করেছেন যে বাংলাদেশের নাগরিকগণ 'বাংলাদেশী' হিসেবে পরিচিত হবেন। আমরা এই প্রস্তাবের সাথে একমত হয়েছি। পাশাপাশি আমরা মন্তব্য করেছি যে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি থাকা উচিত।"
তিনি বলেন, "আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের উপর মন্তব্য করেছি, যেগুলো আমাদের কাছে অত্যন্ত জরুরি মনে হয়েছে। যেমন, রাষ্ট্রভাষা ও দাপ্তরিক ভাষার পার্থক্য, নাগরিক পরিচয় এবং জাতিসত্তার স্বীকৃতি সংক্রান্ত বিষয়গুলো। আমরা আশা করি, এই প্রস্তাবগুলো সংস্কার প্রক্রিয়ায় গুরুত্ব পাবে এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের অধিকার ও পরিচয় সুরক্ষিত হবে।"
আঁখি