
মিলন হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দাবিতে বিক্ষোভ
অনলাইনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মিলন হোসেন নামে এক যুবককে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে নিহত মিলনের বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। বরিবার সকালে সহস্রাধিক বিক্ষুব্ধ নারী-শিশু, যুবক-বৃদ্ধসহ গ্রামবাসী জনতা প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চৌরাস্তায় জমায়েত হয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং মিলনের খুনিদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে।
এ সময় শহরের প্রতিটি সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন অবরোধ সরাতে ব্যর্থ হয়। পরে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা তাদেরকে সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ তুলে নেয়। মিলনের মা সাবিনা বেগম বিক্ষোভে অংশ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ছেলের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘আমার বুকের মানিককে যারা কেড়ে নিয়েছে, আমি তাদের দ্রুত ফাঁসি চাই।
আমার ছেলের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমি রাস্তায় থাকব।’ মিলনের ভগ্নিপতি রবিউল ইসলাম প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার দাবি করে বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত বিচার চাই। ৯০ দিনের মধ্যে যদি বিচার না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।’
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, ‘মিলন খুব ভালো ছেলে ছিল। অপহরণকারী চক্র মিলনের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণের ২৫ লাখ টাকা নিয়ে তাকে জীবিত ফেরত না দিয়ে মিলনের দুই চোখ তুলে, পুরুষাঙ্গ কেটে ও দুই হাতে প্যারেগ মেরে চরম নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর টয়েলেটের কুয়ায় পুঁতে রেখেছিল। মিলন হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত পাঁচদিনে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।
তাদের মধ্যে তিনজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সদর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের সেজান আলী (২৫), তার মা শিউলি বেগম, একই উপজেলার আরাজি পাইকপাড়া গ্রামের মুরাদ ওরফে নাসিম (২৫), সেজানের ভাগনে মহেশপুর গ্রামের মনিরুল হক (১৭) ও সেজানের ভাগনি পৌর শহরের তেলিপাড়া মহল্লার রতœা আক্তার ইভা (১৯)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক নবিউল ইসলাম জানান, হত্যায় জড়িত সেজান, মুরাদ ও ইভাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে তোলা হবে।