ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

মীরসরাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে হাজারো মানুষের চলাচল

নিজস্ব সংবাদদাতা মীরসরাই

প্রকাশিত: ০১:২৩, ২৪ মার্চ ২০২৫

মীরসরাইয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে হাজারো মানুষের চলাচল

মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম রহমতাবাদ মসজিদ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ

মীরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের পশ্চিম রহমতাবাদ মসজিদ সড়কের একটি পুরনো সেতু ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর আগে নির্মিত সেতুটি একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মহিউদ্দিন জানান, বহু বছর ধরে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। জেবল হোসেন নামে এক সমাজকর্মী ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাঠ বসিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করেছিলেন, কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হাফেজ মাওলানা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ সেতুর ওপর নির্ভরশীল কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন বিপজ্জনকভাবে পারাপার করছেন।

শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষকসহ সবার চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।’ এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের পর দ্রুত একটি প্রস্তাব তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

দুর্গাপুরে জোড়াতালি সেতু দিয়ে যাতায়াত
সংবাদদাতা, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা থেকে জানান, নেত্রকোনার দুর্গাপুর-কলমাকান্দা আঞ্চলিক সড়কের পৌরশহরের বুরুঙ্গা এলাকার সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চলছে। উপায় না থাকায় সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে লোকজন। তবে বর্তমানে অবস্থা এতটাই খারাপ যে, দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। 
রবিবার দুপুরে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বুরুঙ্গা এলাকার সেতুটি মানুষের কাছে ভাঙা ব্রিজ নামেও পরিচিত এখন, সেতুটির মাঝখানের ভাঙা অংশে বসানো স্টিলের পাটাতনের অনেক জায়গাই ভাঙা। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানবাহন। কেউবা যানবাহন থেকে নেমে ঠেলে পার করছে। সেতুর দুই পাশের রেলিংগুলোও প্রায়ই ভেঙে গেছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেতুটির এ অবস্থা থাকলেও শুধু নামমাত্র মেরামত করছে কিন্তু নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। 
সূত্র বলছে, ২০২১ সালের মে মাসে ও ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দুইবার এ সেতুটিতে গর্ত হয়েছিল। পরে আবার ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মাঝের অংশে গর্ত হয়ে বড় ভাঙন দেখা দেয়। তখন কর্তৃপক্ষ ওই গর্তের স্থানে স্টিলের পাটাতন বসিয়ে মেরামত করে তবে এভাবে বছর গেলেও এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সেতুটি।
এদিকে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার প্রায় কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে। স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা করে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী। কিন্তু সেতুটির ওপর দিয়ে বাস, ট্রাক, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, নছিমনসহ ছোট ছোট যানবাহন এই অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে রাতে চলাচলে সময়ে ঝুঁকি বেশি।
বুরুঙ্গা এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে এই সেতু পার হতে হয়। দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো ভেঙে পড়তে পারে। ইজিবাইক চালক রিদয় মিয়া বলেন, আমাদের গাড়ি নিয়ে এইদিকে চলাচল করতে খুবই কষ্ট হয়। গাড়ি ঠেলে তুলতে যাত্রী নামাতেও হয়। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, আমি অবগত ছিলাম না, নতুন এসেছি, তবে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

×