
বাউফলের সহস্রাধিক নারী হোগলাবুনে জীবিকা নির্বাহ করছে। সপ্তাহে ৬ দিন জুড়েই এসব পরিবার হোগলাবুনার কাজে ব্যস্থ থাকেন। সোমবার থাকে তাদের ছুটির দিন। এ দিন ঘরের পুরুষরা কালাইয়া হাটে হোগলা বিক্রি করতে নিয়ে যান। দক্ষিণাঞ্চলের সব চেয়ে বড় হাট হচ্ছে কালাইয়া। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত তারা হোগলা বিক্রি করেন। যদিও কালের আবর্তে এই হোগলার চাহিদা অনেক কমে গেছে।
এলাকা বিশেষ হোগলার রয়েছে নানা নাম। কোন এলাকায় চৌকা হোগলা, কাইছা হোগলা আবার কোন এলাকায় কাইত্যা হোগলা, তেকাছি হোগলা নামে এর পরিচিতি রয়েছে। মাঠে ধান শুকানো কাজ এবং মাছের ঢোল তৈরি করার জন্য চৌকা হোগলার বেশি চাহিদা রয়েছে।শোয়ার ঘরে ব্যবহার করার জন্য কাইত্যা গোগলার বেশি কদর। হোগলা পাতার দামের সাথে হোগলার দর ওঠা নামা করে। মাছের ডোলের জন্য তৈরিকৃত হোগলা বিক্রি করা শত হিসাবে। প্রতিটি চৌকা হোগলা মূল্য হচ্ছে ৪০ টাকা, কাইতা হোগলা ৭০ টাকা এবং তেকাছি হোগলা ৫০ টাকা ।
মাছ রাখার ঢোল তৈরি, ধান শুকানো , মসজিদ ও মাহফিলে নামাজ বসার জন্য এবং গৃহস্তলির কাজে হোগলা ব্যবহার কার হয়। দক্ষিনাঞ্চলের লোহালিয়া ও তেঁতুলিয়া নদীর কুল ঘেষে রয়েছে ইলিশ মাছের আড়ৎ। ওই সব আড়ৎে বেশির ভাগ মাছের ঢোল তৈরি করার জন্য হোগলার ব্যবহার করা হয়।
হোগলা পাতা কেটে রোদে শুকানো হয়। পাতার পিটের একটি অংশ কেটে ফেলে বাুিক অংশ দিয়ে হোগলা বুনা হয়। ২-৩ জন একসাথে বসে হোগলা বুনে থাকেন। বাউফল উপজেলাসহ দক্ষিানঞ্চলে দেড় শতাধিক বাজারে হোগালা বিক্রি করা হয়।
উপজেলার কালাইয়া, বগা, বিলবিলাস, কালিশুরী , কনকদিয়া সহ পাশ্ববর্তী উপজেলা দশমিনা, গলাচিপা, দুমকী হাটবাজারে বিলবিলাস হোগলা বেচাকেনা হয়।
এ বিষয়ে কথা হয় বাউফলের বিলবিলাস গ্রামের পিয়া রানী , আলো রানী , বিছা রানী, গোলাপি , জয়লক্ষী এবং শিখা রানীর সাথে । তারা জানান, প্রতিটি হোগলা থেকে তারা ১০ টাকা মজুরী পেয়ে থাকেন। দৈনিক ৩-৪ টি গোগলা বুনতে পারেন তারা। আর এ অর্জিত টাকা দিয়ে চলে তাদের সংসার।
রাজু