হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) এর উদ্যোগে জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবৈধ সীমান্ত পারাপার, সীমান্ত অপরাধ, চোরাচালন ও মাদক পাচার প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বাল্লা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বাল্লা বাজার মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- শ্রীমঙ্গলের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এএইচএম ইয়াসীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ তানজিলুর রহমান।
সভায় সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এএইচএম ইয়াসীন চৌধুরী বলেন- বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের ভৌগলিক সীমানা সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সীমান্তে টহল কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে আমরা অবৈধ সীমান্ত পারাপার, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার, এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করছি। মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে কাজ করছে। তবে এই কাজে সফল হতে সকল স্তরের জনসাধারণের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরী।
তিনি বলেন- ৫৫ বিজিবির অধীনস্থ প্রতিটি বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) এ নিয়োজিত বিজিবি'র টহল দল ২৪ ঘণ্টা সীমান্তে টহল দিচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ বিজিবিকে সহযোগিতা করলে অবৈধ সীমান্ত পারাপার, মাদক চোরাচালান রোধসহ সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা আরও সহজ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ধর্মীয় উপাসনালয় যেমন মসজিদ, মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে ইমাম, পুরোহিত এবং ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান- তারা যেন তাদের ধর্মীয় ভাষণে অবৈধ সীমান্ত পারাপার, মাদকদ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব ও চোরাচালানের বিপদ সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনায় স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং চা বাগান ম্যানেজারদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বিজিবি'র পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারাও যেন সীমান্তবর্তী জনগণকে সচেতন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
বিশেষ অতিথি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোঃ তানজিলুর রহমান বলেন- বিজিবি কর্তৃক আয়োজিত এই জনসচেতনতামূলক সভার মাধ্যমে সীমান্তের জনসাধারণকে সচেতন করে গড়ে তোলা সম্ভব। সীমান্তে বিজিবির টহল তৎপরতার মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, নারী ও শিশু পাচার এবং অন্যান্য অবৈধ কার্যক্রম অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
এ সভায় স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষক, ইমাম, স্থানীয় জনসাধারণ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আফরোজা
