ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

বাঞ্ছারামপুরে গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি ঘ্রাণ

কাজী খলিলুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ২২:৩৫, ২৩ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৬, ২৩ মার্চ ২০২৫

বাঞ্ছারামপুরে গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মিষ্টি ঘ্রাণ

ছবি: জনকণ্ঠ

প্রকৃতির পালাবদলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বসতবাড়ির আঙ্গিনার আম গাছগুলোতে এমন সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। 

কোকিলের সুমিষ্ট কুহুতালে ফাগুনের উত্তাল বাসন্তী হাওয়া দিচ্ছে দোলা। গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে মৌ মৌ ঘ্রাণ। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। জানান দিচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা। দক্ষিণা বাতাসে সেই সুমিষ্ট ঘ্রাণ মানুষের মনকে বিমোহিত করে তুলছে। মৌমাছিরাও আসতে শুরু করেছে মধু আহরণে।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রং ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে খুশি এলাকার মানুষ। অনেকেই ধারণা করছে, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চ মাসে প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আসার আদর্শ সময়। এখন প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় আমের মুকুল সম্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হচ্ছে।

‘উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ নাসির উদ্দিন জনকন্ঠেকে বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আনুমানিক ১১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। তবে এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হবে। এখনো কোন প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা যায়নি। মুকুলের যথাযথ পরিচর্যা না করলে মুকুল ঝরে পড়ে আমের ফলনে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমের প্রকৃত ফলন পেতে হলে অবশ্যই আমগাছে কমপক্ষে দুইবার সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ও ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার আমের মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে। দ্বিতীয়বার আমের সাইজ মটরদানার মত হলে। এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান কৃষি বিভাগ অব্যাহত রেখেছে। 

শহীদ

×