
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নামে ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ আইডি খুলে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে একটি সতর্কতামূলক পোস্ট দেওয়া হয়। উক্ত পোস্টে উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকলের জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, এই আইডি উপাচার্য স্যারের আইডি না। কে বা কারা মাননীয় উপাচার্য স্যারের নামে আইডি খুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সবাইকে এই আইডি হতে সাবধান থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
উপাচার্য মো. জাহাঙ্গীর আলমের নাম ও ছবি ব্যবহার করা ফেক হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে দেখা যায় 01856064528 নম্বর থেকে আইডিটি খোলা হয়েছে। যেখানে মোকাররম নামের এক ব্যক্তিকে জরুরী ভিত্তিতে বিকাশে পেমেন্ট করার নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনার ঝড় ওঠে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ঈদের আগে প্রতারকরা উপাচার্যদের টার্গেট করছে। এর আগে দেখেছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নামে ভুয়া আইডি খুলে টাকা চেয়েছে। আর এখন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নামেও চাচ্ছে। এরপরে কোন উপাচার্যকে টার্গেট করে কে জানে। সবাইকে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রোকন বাপ্পি বলেন, দেশের সকল সিম রেজিষ্ট্রেশনের আওতাভুক্ত হওয়ায় খুব সহজেই এসকল সিম ইউজারদের পরিচিত শনাক্ত করা সম্ভব। হোয়াইটসঅ্যাপের এমন ফেইক আইডিগুলোর বিরুদ্ধে অতি দ্রুত সকল প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। বিভিন্ন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য এহেন পরিস্থিতি চরম বিব্রতকর।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, এর আগে আমিও এরকম এক প্রতারণার স্বীকার হয়েছিলাম। আমার নামে আইডি খুলে টাকা চাইছিল। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকেও প্রতারক ছাড়ে না সেখানে আমার কোন আফসোস নাই। ক্যাম্পাস ভরা প্রতারক চক্রে।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে সন্ধ্যায় একই নম্বর থেকে মেসেজ দিয়ে টাকা চাওয়া হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নামে। এ ঘটনা সংবাদের মাধ্যমে জানাজানি হলে পরবর্তীতে ওই আইডির নাম ছবি পরিবর্তন করে তা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য করা হয় এবং আবারো প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারক চক্র।
মায়মুনা