ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১

পূর্বাঞ্চল রেলের পরিত্যক্ত বক্ষব্যাধি হাসপাতাল

ইট পাথর দরজা-জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছে  দুষ্কৃতকারীরা

সংবাদদাতা, সীতাকুন্ড

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ২৩ মার্চ ২০২৫

ইট পাথর দরজা-জানালা খুলে নিয়ে যাচ্ছে  দুষ্কৃতকারীরা

.

সীতাকুন্ডের কুমিরা রেলস্টেশনের পূর্বপাশে পাহাড়ের টিলায় অবস্থিত রেলওয়ের পরিত্যক্ত বক্ষব্যাধি হাসপাতাল। বছরের পর বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে হাসপাতালটি। একসময় এই অবকাঠামো রক্ষায় নিরাপত্তা প্রহরী থাকলেও ১৬ বছর ধরে তাও নেই। যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত রেলওয়ের কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ আমলে এই হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছিল। রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, যক্ষ্মা থেকে মুক্তির জন্য লোকালয় থেকে অনেকটা দূরে পাহাড়ের টিলায় এ হাসপাতাল নির্মাণ করে রেলওয়ে। যক্ষ্মা কমে আসার পর ১৯৯২ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম কুমিরার এই ভবন থেকে স্থানান্তর করে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত সিআরবি এলাকার রেলওয়ে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে ১০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের বিশাল এই জায়গা ও ভবন নিয়ে রেলওয়ে কোনো পরিকল্পনা করেনি। আবার চট্টগ্রাম নগরে স্থানান্তর করা হাসপাতালটিও কার্যত বন্ধ রয়েছে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ইবনে সফি আবদুল আহাদ জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত হাসপাতালের জায়গায় হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য গত বছরের মে মাসে একটি বেসরকারি হাসপাতালকে ইজারা দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। তৎসময়ের মন্ত্রী-সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জায়গাটি পরিদর্শন করেছিলেন। এরপর আর কোনো অগ্রগতি নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, ভবনের কোনো কক্ষেরই দরজা-জানালা নেই। আশপাশের ইটও খুলে নেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল হানিফ জানান, ভবন পাহারায় আনসার সদস্য রাখলে মাসে এক লাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু বিপরীতে রেলের কোনো আয় হবে না। তাই এই জায়গা ইজারা দেওয়ার বিকল্প নেই। একাধিকবার ইজারা দেওয়ার চেষ্টা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নানা কারণে ইজারা হয়নি। তিনি আরও বলেন, মূল্যবান এই জায়গা নিয়ে রেলওয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানা গেছে।   

আরো পড়ুন  

×