
ছবি সংগৃহীত
গাজীপুরে বাবার হয়রানী ও অত্যাচারের শিকার এক স্কুল ছাত্রী তার স্বামীকে নিয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি নিজের ও স্বামীর নিরাপত্তা ও প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পরিবারের পছন্দের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করায় শনিবার দুপুরে জেলা শহরের একটি অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ওই স্কুল ছাত্রী সোমাইয়া আক্তার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সোমাইয়া আক্তার বলেন, গত বছর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন সুকুন্দি এলাকার মুক্তিযুদ্ধ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল তার। তিনি স্থানীয় খুন্দিয়া এলাকার শুক্কুর আলীর মেয়ে। গত ৬ নবেম্বর তার অমতে গাজীপুর মহানগরীর ভোড়া এলাকার ইয়াজুদ্দিনের ছেলে রাজীব হাসান রানার সঙ্গে সোমাইয়াকে বিয়ে দেন তার বাবা ও পরিবার। এতে তার পক্ষে আর এসএসসি পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয়নি। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় একই বছরের ৮ ডিসেম্বর স্বামী রাজীবকে ডিভোর্স দেন সোমাইয়া আক্তার।
পরদিন (৯ ডিসেম্বর) তিনি তার প্রেমিক নগরীর হাতিয়াব এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফাকে গোপনে বিয়ে করেন। সোমাইয়ার বড় বোনের ভাসুরের ছেলে মোস্তফা। সোমাইয়ার এ বিয়ে (দ্বিতীয়) মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার।
এ ঘটনায় সোমাইয়াকে অপহরণের অভিযোগ করে মোস্তফা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন শুক্কুর আলী। শুধু মামলা নয়, বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে মোস্তফা ও তার পরিবারকে হয়রানী করছেন সোমাইয়ার বাবা। এতে আতঙ্কিত হয়ে সোমাইয়া তার দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে সোমাইয়া তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুরির নিরাপত্তা ও প্রতিকার চেয়ে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মোস্তফার বাবা আবুল কাশেম বলেন, সোমাইয়াকে আমরা জোর করে রাখছিনা। সে নিজে থেকেই মোস্তফার সাথে আছে। তারপরও সোমাইয়া যদি মোস্তফাকে ছেড়ে চলে যেতে চায় তাতে কোন আপত্তি থাকবেনা।
সংবাদ সম্মেলনের পর প্রতিকার চেয়ে গাজীপুর পুলিশ সুপারের কাছে একটি দরখাস্ত দিয়েছেন সোমাইয়া আক্তার।
আশিক