
ছবি: জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নে কেরামতিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার মুক্তবঘর থেকে ভিজিএফের প্রায় চার মেট্রিক টন চাল জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব চাল উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আনারুল ইসলাম,,আমজাদ মিয়া, শাহাজালাল সহ অনেকে জানান, গরিব ও দুঃস্থ মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে সরকারিভাবে ১০ কেজি চাল বিতরণ করার জন্য দেওয়া হয়। তবে এই চাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের যোগসাজশে ইউপি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী জামাল ব্যাপারীর মাধ্যমে মুক্তবঘরে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা হয়েছিল।
খবর পেয়ে উপস্থিত স্থানীয়রা মিলে মাদ্রাসার মুক্তবঘরটি ঘিরে রেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে ৩.৮ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে, মুক্তবের পরিচালক ও কেন্দ্রীয় বাজার মসজিদের ইমাম ইসমাইল হোসেনসহ স্থানীয় তিন ব্যক্তিকে স্বাক্ষী হিসেবে থানায় আনা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ীর নিজের লোকজন দিয়ে একেকজন চার পাঁচটি করে স্লিপ নিয়ে একাধিকবার চাল উত্তোলন করে অবৈধভাবে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক প্রধান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানিনা। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা ধান ব্যবসায়ী, চাল ব্যবসায়ী নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে কালিগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জামাল ব্যাপারী পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, "আমি যে মুক্তবঘরে চাউল রেখেছি, কেউ কি দেখেছে? ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান জানান, অভিযানে ৩.৮ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে স্বাক্ষীদের পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, ট্যাগ অফিসার নূর কুতুবুল আলমকে বাদী করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা জানান, 'এজাহার এখনো পাইনি, পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শহীদ