ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১

নেত্রকোনায় নিজ বাসা থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা,নেত্রকোণা

প্রকাশিত: ১৩:০৪, ২২ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৩:০৪, ২২ মার্চ ২০২৫

নেত্রকোনায় নিজ বাসা থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার

ছবি: প্রতীকী

 জেলা শহরের আরামবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মাজদা খাতুন(৬৫) নামে এক বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহত মাজেদা খাতুন আরামবাগ এলাকার মৃত আরজান আলীর স্ত্রী। নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  
বৃদ্ধার স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, জেলা তথ্য অফিসের সাবেক কর্মচারী আরজান আলীর স্ত্রী মাজেদা খাতুন ওই বাসাটিতে একা থাকতেন। তার তিন কন্যা বৈবাহিক সূত্রে অন্যত্র থাকেন। বৃহস্পতিবার থেকে কন্যারা মাজেদা খাতুনকে ফোন করে কোনো সাড়া পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায় ইতি আক্তার নামে এক কন্যা শুক্রবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে তার স্বামীকে নিয়ে মাজেদা খাতুনের বাসায় যান।  তারা ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় মাজেদা খাতুনের মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে। এসময় বাসার এক অংশ তালাবদ্ধ এবং আরেক অংশ খোলা ছিল। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। মাজেদার স্বজনদের ধারণা, কোনো সংঘবদ্ধ চক্র তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুঠোফোনসহ আলমারি ভেঙে টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার নিয়ে গেছে। নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা ঘটনাটির কারণ অনুসন্ধান করছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে রহস্য পরিস্কার হবে। 
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি জেলা শহরের বড়বাজার এলাকারে একটি বাসা থেকে দিলীপ কুমার সাহা নামে এক অবসরপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে মাজেদা খাতুনের ঘটনার মিল রয়েছে। প্রায় আড়াই মাসেও দিলীপ কুমার সাহার হত্যাকারীদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি। 
 

কানন

×