
ছবি:সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের একটি প্রিয় শখ হলো পুরনো কয়েন সংগ্রহ করা। ইংরেজিতে এসব প্রাচীন মুদ্রাকে বলা হয় এন্টিক কয়েন। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব কয়েন চড়া মূল্যে কিনে থাকে বলে জানা গেছে। বিদেশে প্রতিটি ধাতব মুদ্রার বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে এন্টিক কয়েনের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে একটি প্রতারণার চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই চক্র বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে প্রাচীন ধাতব মুদ্রার নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজধানীর আদাবর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে চারজন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে চারটি কথিত এন্টিক মেটাল কয়েন, ৫০ লাখ টাকার একটি চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫ হাজার টাকা এবং প্রতারণায় ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
প্রতারণার শিকার মিজানুর রহমানের সাথে প্রথমে পরিচয় হয় অভিযুক্ত ইফতেখারের। ইফতেখার মিজানুরকে জানান, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রাচীন ধাতব মুদ্রা কিনে থাকে এবং তিনি অতি উচ্চমূল্যে এসব মুদ্রা বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বিক্রি করতে পারবেন। এই প্রলোভনে মিজানুরকে ফাঁদে ফেলেন ইফতেখার। গত বছরের ৭ অক্টোবর মিজানুর চক্রের কাছে অগ্রিম ৪৫ লাখ টাকা দেন। পরে তিনি আরও নগদ ৭৫ লাখ টাকা এবং ৫০ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক দেন। একপর্যায়ে মিজানুর জানতে পারেন, ধাতব মুদ্রাগুলো ভুয়া এবং তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর তিনি আদাবর থানায় মামলা করেন।
পুলিশের অভিযানে প্রতারক চক্রের চারজন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা আগেও ঘটেছে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসব প্রতারণা রোধ করা সম্ভব।
সূত্র:https://youtu.be/v19bNWMhBVA?si=Y0ytqppD17YhKcOB
আঁখি