
বাঙালি যুবক ও পাহাড়ি কিশোরী প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ালো পরিবার। পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে জেলে বাঙালি যুবক। ১৯ মার্চ বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় দীঘিনালায় এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, দীঘিনালার বোয়ালখালীতে মো. খায়রুল ইসলাম ও খগেশ্বর ত্রিপুরার বাড়ি পাশাপাশি। বোয়ালখালী বাজারে খায়রুল ইসলামে বেকারিতে কাজ করে খগেশ্বর ত্রিপুরা। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাধে খগেশ্বর ত্রিপুরার মেয়ে মিথুলী ত্রিপুরার (১৭) এবং মো. খায়রুল ইসলামের ছেলে শাকিল আহম্মেদের (২০) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
দীঘিনালা মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মিথুলী ত্রিপুরা এবার এসএসপি পরীক্ষার্থী এবং তাদরে সম্পর্ক প্রায় দুই বছর চলে। মিথুলী ত্রিপুরা রাতে পাশের বাড়ির বান্ধবী জোবাইদুন্নেছা বৃষ্টির বাসায় রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলো। দুই দিন আগে এ প্রেমের সম্পর্ক জেনে ফেলে মিথুলী ত্রিপুরার পরিবার। সম্পর্ক ছিন্ন করার চাপ প্রয়োগ করে মিথুলী ত্রিপুরার উপর।
খগেশ্বর ত্রিপুরা বাদী হয়ে শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা শাকিল একা পেয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিথুলীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অটোগাড়িতে উঠিয়ে অপহরণ করে, বোয়ালখালীর দিকে নিয়ে যায়।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকারিয়া জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০২০) মামলায় শাকিলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। শাকিলকে জেলে ও মিথুলীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
শাকিলের পিতা খায়রুল ইসলাম বলেন, মেয়ের বাবা আমার বেকারিতে চাকরি করে। আমার ছেলে যেহেতু সম্পর্ক করে ফেলেছে, আমি বিয়ের পক্ষে ছিলাম। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার মিথুলী ত্রিপুরার সাথে শাকিল দেখা করতে গেলে মেয়ে পক্ষের লোকজন দুইজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
তিনি বলেন, দোষতো দুইজনেই করেছে। অথচ, আমার ছেলে মিথ্যায় মামলায় এখন জেলে।
আফরোজা