ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী

প্রকাশিত: ০০:৫৬, ২০ মার্চ ২০২৫

রাজশাহীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

হড়গ্রাম বাজারে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত নারীরা

রাজশাহীতে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। রোজার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে এখন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন বাজার-শপিংমল শোরুমে। বিভাগীয় শহর রাজশাহীর ফুটপাত থেকে অভিজাত শপিংমলে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদের কেনাকাটা। তবে পোশাকের দাম গতবারের তুলনায় বেড়েছে। এতে এবার হোঁচট খাচ্ছেন ক্রেতা। এরইমধ্যে ঈদের বাহারি পোশাকে ভরেছে দোকানপাট ও শপিংমল।

দিনেরবেলা এক রকম আবার সন্ধ্যার পর আলোর ঝলকানিতে প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে দোকানপাট, বিপণিবিতান। বিভিন্ন পোশাকের শোরুমে ভিড় বেড়েছে চরম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় পোশাকের দাম বেড়েছে। মোকামেই তারা বেশি দাম দিয়ে কিনে আনছেন বলে জানান। এ পরিস্থিতিতে ক্রেতারা বলছেন, এ বছর নিত্য বাজারের পণ্যের দাম কমতির দিকে থাকলেও পোশাকের দাম বেড়েছে ব্যাপক।
বুধবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, আরডিএ মার্কেট, নিউমার্কেট ও হকার্স মার্কেট, গণকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট, থিম ওমর প্লাজা ছাড়াও একাধিক শপিংমল, কুমারপাড়া এলাকার আড়ঙ, লারেভে, টুয়েলভ, সেইলর, সারা ও ইনফিনিটির শোরুমে ঘুরে দেখা গেছে সর্বত্রই ক্রেতার ভিড়। সবচেয়ে এখন বেশি ভিড় সাহেববাজারের আরডিএ মার্কেটে।

এই বাজারে মেয়েদের শাড়ি, থ্রি-পিস, বোরকা, জুতা-স্যান্ডেল, অলঙ্কার, কসমেটিকস থেকে শুরু করে সবকিছুই সহজলভ্য হওয়ায় নারী ক্রেতার সমাগম বেশি। ছেলেদের নিত্যনতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবি, জিন্স, টি-শার্ট এবং থান কাপড়ের দোকান থাকায় এই মার্কেটে ছেলেদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। ভিড় আছে নগরীর হকার্স মার্কেটেও। এছাড়া সিট কাপড়ের দোকানেও বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আরডিএ মার্কেটের ব্যবসায়ী আবিদ হাসান জানান, এবার রোজার শুরু থেকেই বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি বেড়েছে। কেনাকাটাও বেড়েছে।
নগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা বুলবুলি খাতুন সাহেববাজারে এসেছেন শাড়ি ও থ্রি-পিস কিনতে। তিনি বলেন, গতবছরের তুলনায় থ্রি-পিসের দাম প্রায় ডবল হয়েছে। যে থ্রি-পিসের দাম দুই হাজার ছিল এ বছর তার দাম তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারে ঠেকেছে। শাড়ির দামও কিছুটা বেড়েছে। 
রাজশাহী চেম্বার সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু বলেন, এবার রোজার শুরু থেকেই বাজার পরিস্থিতি অনেক ভালো। এবার ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই বাজারে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাবেচা করতে পারছেন।
এদিকে এবারের ঈদেও ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্কের শাড়ি ও পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন পোশাক। চাহিদার যোগান দিতে ব্যস্ত রাজশাহীর রেশমপাড়ার শ্রমিকরা। এবার ঈদে সিল্কের কাপড়ের ওপর হাতের কাজের শাড়ি ও পাঞ্জাবি এসে গেছে শোরুমগুলোতে। রাজশাহীর বিসিক এলাকায় অবস্থিত সিল্ক হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেছে দেদার কেনাবেচা শুরু হয়েছে।

বরিশালে ভিড় জুতার দোকানে
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতরের খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে সবার মাঝে। ইতোমধ্যে অনেকেই পোশাক কিনে ফেলেছেন। এবার পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চাই নতুন জুতা। তাইতো ঈদ ফ্যাশনে পূর্ণতা আনতে ভিড় বেড়েছে জুতার দোকানে। নতুন জামা-কাপড়ের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা ক্রয়ে ব্যস্ত সবাই।
সারা বছর জুতার চাহিদা কমবেশি থাকে। তারপরেও ঈদের জুতার ব্যাপারে সবাই একটু বেশি সচেতন। এ সময়ের ফ্যাশন-সচেতন নারী-পুরুষ ঈদে পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতা পরাটাকে রুচিশীল ব্যক্তিত্বের প্রকাশ বলে মনে করেন। যে কারণে ঈদ সামনে রেখে জুতার ব্র্যান্ডগুলোও পুরোদমে নিজেদের প্রস্তুত করেছে। দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে এপেক্স, বে এম্পোরিয়াম, জেনিস, নাজ ইত্যাদির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের বাটা, লোটোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও ঈদের ফ্যাশনে যুক্ত করেছে নতুন নতুন সব ডিজাইন।  
তাইতো ঈদের কেনাকাটায় এবার মনের মতো জুতা খুঁজে নিতে সব বয়সের ক্রেতারা আসছেন পছন্দের শোরুমে। যে কারণে ক্রেতাদের রুচি ও পছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন নতুন ডিজাইনের জুতা ও স্যান্ডেল নিয়ে এসেছে তন্ময় সু-কর্নার।

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী টরকী বন্দর বড় মসজিদের সামনে অবস্থিত তন্ময় সু-কর্নারটি একটানা ৩৯ বছর ধরে তাদের ব্যবসায়িক সুনাম ধরে রেখেছে। শহরের চাহিদা গ্রামের শৌখিন ক্রেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে, বাটা, এপেক্স, লোটো, নাজসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ছোট-বড় সব বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুদের জুতা-স্যান্ডেল শোভা পাচ্ছে তন্ময় সু-কর্নার নামের দোকানের অভ্যন্তরে।
তন্ময় সু-কর্নারের মালিক অলিউল ইসলাম জানিয়েছেন, এবারের ঈদকে ঘিরে নামি-দামি কোম্পানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জুতা ও স্যান্ডেল মার্কেটে এনেছেন।

×