
ছবি: জনকণ্ঠ
বাউফলে একটি সড়কের নির্মাণের একদিন পরেই কয়েকটি অংশ ধসে পরেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থ বছরে উপজেলার বগা থেকে কাছিপাড়া সড়কটি প্রশ্বস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়। কয়েকটি প্যাকেজের মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে সড়কটি ১০ ফুট থেকে ১৮ ফুট বর্ধিতকরণে কাজ শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করায় সড়কটির কয়েকটি অংশ ধসে পরেছে। নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের দুই পাশে পাইলিং প্রয়োজন হলে সড়ক নির্মাণের আগেই তা করতে হয়।
সরেজমিন শহীদ জালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি পরিদর্শনকালে দেখা যায় বর্ধিত অংশের একাধিক স্থান দেবে গেছে। আবার কোথাও ধসে পড়েছে। ঠিকাদার সড়কের সাববেইজ ও ম্যাকাডাম করার পর পাইলিং নির্মাণ করেছেন। রোলার মেশিন ব্যবহার না করেই কার্পেটিং করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী কথা বলতে গেলেই ঠিকাদারের লোকজন ধমক দিয়েছেন। ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় কার্পেটিং করার পরের দিনই একাধিক স্থানে ধসে পরে। ওই সড়কে গত রবিবার (১৬ মার্চ)কার্পেটিং করা হয় আর সোমবারই ধসে পড়ে।
স্থানিয় এক ব্যক্তি বলেন, এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ি কাজ না করে নিম্মমানের উপকরণ দিয়ে নামমাত্র কাজ করা হয়েছে। জানা গেছে, ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের ৬হাজার ৬শ৮৫ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ করছেন খায়রুল কবির রানা নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে যেভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, আমরা সেভাবেই কাজ করেছি। অনিয়মের বিষয়ে অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবুল কালাম বলেন, যে অংশ ধসে পড়েছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। যেখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেখানে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ আদায় করার পরই বিল দেওয়া হবে।
শহীদ