
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শহরের ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে টেস্ট পরীক্ষায় তিনটি বা তার বেশি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া ১৯ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৫-৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর মোট ১৩৯ শিক্ষার্থী কলেজের টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। তাদের মধ্যে ১৯ জন শিক্ষার্থী তিনটি বা তার অধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হন। কলেজ কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষার্থীদের আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কলেজের দাবি, পরীক্ষায় পাশের হার বাড়ানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওঠে দাঁড়িয়ে নানা চেষ্টা করেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার। তাদের ব্যর্থতার পর, তারা আত্মহত্যার হুমকি দেন।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অহিদুজ্জামান সুপন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫-৬ জন আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন। তারা এখনো নানা মাধ্যমে তদবির করছেন, কিন্তু আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অটল আছি। ফরম পূরণের সময় ১৭ মার্চ শেষ হয়ে গেছে, তাই আর কোনো সুযোগ নেই।"
এ বিষয়ে কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মুজাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, "টেস্ট পরীক্ষায় চার পেপারে ফেল করেও বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দেওয়া অযৌক্তিক। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আগামী বছর ভালোভাবে পড়াশোনা করার পর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "যদি কেউ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেন, তবে তাদেরকে আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য দায়ী করা হবে।"
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কলেজের স্বার্থে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়ম-কানুন পরিপালন করা হচ্ছে। তারা সিদ্ধান্তে অটল থেকে ভবিষ্যতে এ ধরনের অবস্থা আর চলতে দেওয়া হবে না। "শুধু কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হবে, অকৃতকার্যদের ফরম পূরণ করা হবে না," জানিয়েছেন কলেজ গভর্নিংবডির সভাপতি মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
এম.কে.