ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

ফটিকছড়িতে সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ১৯ মার্চ ২০২৫

ফটিকছড়িতে সন্ধ্যা নামলেই বাড়ে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য

রাতের আঁধারে তিন ফসলি জমি মাটি লুট করছেন মাটিখেকোরা

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে কোনো ভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাটি খেকোদের দৌরাত্ম্য। রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করে নষ্ট করছে ফসলি জমি। বাদ যাচ্ছে না সরকারি খাস জমিও। এতে ফসল উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে জীববৈচিত্র্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, সুয়াবিল, রোসাংগিরী, জাফতনগর, নারায়ণহাট ও লেলাং ইউনিয়নে সন্ধ্যার পর থেকেই আঞ্চলিক সড়কগুলোতে মাটিভর্তি ট্রাক, মিনি-ট্রাক, ড্রাম ট্রাকের দৌরাত্ম্য। রাতের আঁধারে সমতল কৃষি ও বনভূমি মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্যে রাতারাতি পুকুর-খালে পরিণত হচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, মাটি বিক্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সিন্ডিকেট প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কেটে চলেছেন কৃষি জমির উর্বর মাটি। মাটিখেকোদের হাত থেকে রেহাই মিলছে না প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর চরও। 
নারায়ণহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা সেলিম উদ্দিন  বলেন, নারায়ণহাট বাজারের উত্তর পাশে খাস জমি থেকে মাটি বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সিন্ডিকেট। পাইন্দং ইউনিয়নের বাসিন্দা নিয়াজ মোরশেদ বলেন, রাতের আঁধারে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই যানবাহনের চলাচলে রাস্তা ভেঙ্গে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে হুমকির শিকার হতে হয় তাদের।

এদিকে, এ উপজেলার ভূজপুর থানাধীন সুয়াবিলে সোমবার গভীর রাতে  চালিয়ে একটি ড্রাম ট্টাক ও একটি স্কেভেটর জব্দ করা হয়। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে আমরা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। সুনির্দিষ্ট সংবাদ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

×