ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে বিক্রেতাকে সতর্ক করলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর

প্রকাশিত: ০০:২০, ১৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:২০, ১৯ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করতে বিক্রেতাকে সতর্ক করলো ভ্রাম্যমাণ আদালত

ছবি: সংগৃহীত।

গাজীপুরে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়ে মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে সতর্ক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন এ সতর্কবার্তা দেন।

বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দিন জানান, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি ওঠায় এ বিষয়ে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানের সময় মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে এনে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। অন্যথায়, ২০১১ সালের পশু জবাই আইনের আওতায় বুধবার (১৯ মার্চ) থেকে তাকে গ্রেফতার ও দণ্ড দেওয়া হবে বলে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া জানান, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া এবং লাইসেন্স ব্যতীত পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। এতে এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

অভিযান চলাকালে স্থানীয়রা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে আশ্বস্ত করেন যে, এ এলাকায় আর ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। তারা জানান, দুবাই ফেরত আ ন ম নুরুল্লাহ মামুন তার বন্ধু শফিকুল ইসলামকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি শুরু করেন। ঘোড়ার মাংসের চাহিদা বাড়তে থাকায় ২৫০ টাকা কেজির মাংস ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছিল।

ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের নজরে আসার পর মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশনা দেয়।

নুসরাত

×