ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ০০:০২, ১৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:০৩, ১৯ মার্চ ২০২৫

ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে এক বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর সভাপতি জনাব হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় "বদর দিবসের গুরুত্ব ও আমাদের জন্য শিক্ষণীয় দিক" শীর্ষক এই সেমিনারে বক্তারা বদর যুদ্ধের তাৎপর্য ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারটি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, "বদরের যুদ্ধ কেবল একটি সামরিক বিজয় ছিল না, বরং এটি ছিল ঈমান, ত্যাগ ও আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থার এক অনন্য পরীক্ষা। মাত্র ৩১৩ জন সাহাবির বিপরীতে হাজারো অস্ত্রসজ্জিত কুরাইশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘটিত এই যুদ্ধে ঈমানের শক্তি ও আত্মত্যাগের মাধ্যেমে বিজয় অর্জিত হয়েছিল। বর্তমান সময়েও আমাদের সেই চেতনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।"

বিশেষ আলোচক হিসেবে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, "বদর ছিল ইসলামের প্রথম ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ, যা ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। এই যুদ্ধ আমাদের শেখায় কীভাবে ঈমান, একতা ও আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় শক্তি দিতে পারে।" 

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ড. আব্দুল মান্নান। তিনি বদরের শিক্ষাকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে বলেন, "আজকের মুসলিম উম্মাহর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বদরের সাহাবিদের মতো সাহসী, আত্মনিবেদিত ও আদর্শবান হতে হবে। সমাজে ন্যায়বিচার ও ইসলামের শাশ্বত আদর্শ প্রতিষ্ঠায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।"

সেমিনারের শেষে বদরের বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। 

আসিফ

×