
ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের নগরকান্দা সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে এতিমের বরাদ্দকৃত কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে তিনটি মামলা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার ফরিদপুরের সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে বাদী হয়ে মামলাগুলো করেন দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ইমরান আকন।
আবুল কালাম আজাদ ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নগরকান্দার সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত থাকলেও বর্তমানে সে কক্সবাজার সমাজসেবা কার্যালয়ে প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালি ইউনিয়নে দশ হাজার গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রতন কুমার জানান, বিভিন্ন সময় আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে দুদক এর জেলা কার্যালয় অনুসন্ধান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পায়। তিনি বিভিন্ন সময়ে এক কোটি ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩৫০ টাকা আত্মসাত এর অভিযোগ এর সত্যতা পেয়ে মঙ্গলবার ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতে ৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৩ টি মামলার এজাহারে বলা হয় অবহেলা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন সাবেক এই কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
৩ টি মামলার মধ্যে একটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নগরকান্দা উপজেলায় তিনি কর্মরত থাকাকালীন এতিমদের বরাদ্দকৃত ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ২০২৩ সালের ২০ মার্চ অবৈধভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন এবং ঘুষ দাবিপূর্বক শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
অপর মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য বিভিন্ন সময় অবিতরণকৃত বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন পূর্বক বিতরণ না করে ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে আত্মসাৎ করেন। অপর আরেকটি মামলায় উল্লেখ করা হয়, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি তহবিল থেকে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩৬ লাখ ৩৫ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলনপূর্বক নিজ কাজে ব্যবহার করেছেন।
অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এতিমরা না থাকায় টাকাগুলো দেওয়া হয়নি, বর্তমানে এই টাকাগুলো ব্যাংকে রয়েছে। এ ছাড়া আমার জমি বিক্রিসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোনের টাকা ব্যাংকে লেনদেন হয়, এ কারণে দুদক সন্দেহ করেছে। তৎকালীন আমার অফিসের সহকর্মী নজরুল ইসলামের সাথে আমার বিরোধের জেরে তিনি আমার নামে দুদকসহ বিভিন্ন স্থানে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। এছাড়া এই অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হলে তদন্তে সেটা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আমি মামলা মোকাবিলা করব।
শহীদ