ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বাদী নিজেই করলেন কারাভোগ!

প্রকাশিত: ২১:০১, ১৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২১:০২, ১৮ মার্চ ২০২৫

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার বাদী নিজেই করলেন কারাভোগ!

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার বাসিন্দা ও অনলাইন ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ সাহেদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ থাকায় ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে তিনি সাইবার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১৫ জনকে আসামি করা হয়।

সাহেদের অভিযোগ, তার করা মামলাটি এখনো তদন্তাধীন থাকলেও, তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিয়ে পুলিশ সাধারণ জনগণকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সোমবার (১৭ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সাহেদ বলেন, "আমাকে গ্রেপ্তারের পর আমার ম্যানেজারের কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করা হয়, বলা হয় এই টাকা দিলে আমার নামে কোনো মামলা হবে না। কিন্তু আমি অন্যায় করিনি, তাই টাকা দিইনি। ফলে আমাকে ২২ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের একমাত্র ভিত্তি ছিল তার অফিসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রাখা।

"সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি রাখা বাধ্যতামূলক। তাহলে এটাই যদি অপরাধ হয়, তবে সকলেই তো অপরাধী!" —বলেন তিনি।

"আমাদের কাছে সমস্ত এভিডেন্স থাকা সত্ত্বেও থানায় মামলা পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করানো যায় না, অথচ আমাকে কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করা হয়েছে," বলেন তিনি।

তিনি জানান, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর থেকেই তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কারাগারে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে তার গ্রামের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।

সাহেদের দাবি, "আমি নিজেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম, অথচ এখন আমাকে করা হচ্ছে মামলার আসামি! আন্দোলনে যারা সক্রিয় ছিল, তাদেরই এখন দমন করা হচ্ছে। ছাত্রদের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় আমি নাকি সহযোগী! অথচ আমরা তো সাধারণ মানুষ, কোনো ফ্যাসিস্ট নই।"

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, শুধু তিনিই নন, চট্টগ্রামে আরও অনেক আন্দোলনকর্মী হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। আন্দোলন শেষে তাদের টার্গেট করা হচ্ছে এবং দমননীতির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/WJ-Ntn_BSP4?si=CbZkidY6fEaWhm8g

এম.কে.

×