
ছবি: শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ ও ঈদের ছুটি বৃদ্ধির পৃথক দাবিতে দু’টি কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে।
এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় ফুওয়াং ফুড ও বানিয়ারচালা এলাকায় জায়ন্ট টেক্সটাইলের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে।
আন্দালনরত শ্রমিকেরা বলেন, সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকার ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড (খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কারখানার শ্রমিকেরা গত কিছুদিন ধরে তাদের পাওনা জানুয়ারি হতে তিন মাসের বকেয়া বেতন ভাতা ও বোনাসের টাকা পরিশোধের দাবী জানিয়ে আসছিল কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধের একাধিকবার আশ্বাস দিলেও পরিশোধ না করে নানা টালাবাহানা করছে।
প্রতি বছরই ঈদ এলে কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন বোনাস নিয়ে এরকম টালাবাহান করে থাকে। এতে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। এর জের ধরে মঙ্গলবার সকাল হতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করে।
একপর্যায়ে সকাল ৯টার দিকে তারা কারখানা থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে সামনের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর গিয়ে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে। এসময় ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন চালক, যাত্রী ও স্থানীয়রা।
কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মুকিত হোসাইন বলেন, শ্রমিকদের দাবী সঠিক নয়। তাদের শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ ও জয়দেবপুর থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, শ্রমিকদের মার্চ মাসসহ দুই মাসের বেতন এবং ঈদ বোনাস বকেয়া রয়েছে। শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ এবং সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। তারা কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে শ্রমিকদেরকে দাবী পূরনের আশ্বাস দেন।
এরপর আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেয়। তারা মহাসড়ক ছেড়ে কারখানা অভ্যন্তরে অবস্থান নিলে প্রায় এক ঘন্টা পর ওই মহাসড়কে পুনঃরায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এদিকে একইদিন একই উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকার জায়ান্ট টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে।
শিল্প পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরের ছুটি বাড়িয়ে ১২ দিন করা ও কারখানার প্রশাসন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ওমর ফারুকের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল হতে ওই কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালায়।
শিলা ইসলাম