
ছবি: সংগৃহীত
অপরাদের অন্ধকার জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকে। তবে, ৫ আগস্ট কারামুক্তির পর অনেকেই আবার অপরাধ কর্মে লিপ্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যারা ফিরতে চান তারা বলছেন অতীত কর্মকান্ডের জন্য অনুতপ্ত তারা। এখন দরকার সবার সহমর্মিতা।
রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মামলা ও অভিযোগের ভিত্তিতে ২৩ জনকে শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে নাম প্রকাশ করা হয় ২০০১ সালে। তাদের ধরতে তখন পুরস্কারও ঘোষণা করে সরকার। ঘোষণার আগে পরে গ্রেফতার হন অনেকে। কেউ কেউ পালিয়ে যান বিদেশে। ঐ সময় গ্রেফতার হওয়া ৮ জন প্রায় ২৪ বছর কারাভোগের পর বেরিয়েছেন গত আগস্টে। কয়েকজন অপরাধ জগতে ফিরে গেলেও, অনেকে ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।
রায়েরবাজার এলাকার খন্দকার নাইম আহমেদ ওরফে টিটন, তার দাবি অপরাধ জগতের ইমন তার পরিচিত। ইমনের সাথে ওঠাবসা থেকেই অপরাধে যুক্ত হন তিনি। ছিল নানা ষড়যন্ত্র। নিজের অপরাধের জন্য অনুতপ্ত টিটন। এখন ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে।
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান এমন আরেকজন আব্বাস ওরফে কিলার আব্বাস। তিনিও ১২ মামলার আসামি হয়ে কারাবন্দী ছিলেন ২৩ বছর। মুক্ত হয়েছেন ৫ আগস্টের পর। তার মতে, অপরাধ যতটা করেছেন, প্রচার হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। তিনি অনুতপ্ত অতীত নিয়ে।
৫ আগস্টের পর জেল থেকে ছাড়া পাওয়া আরেকজন মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল। তার দাবি, ছাত্রদলের রাজনীতি করতে গিয়ে মোহাম্মদপুরের নেতা হাজী মকবুলের রোষানলে পড়েন। একের পর এক মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয় তাকে। হেলাল জানান, গ্রেফতারের দেড় বছর পর তাকে ধরতে আবার পুরস্কার ঘোষণা করে সরকার। এটি নিয়ে চরম বিতর্ক হয়।
টিটন, হেলাল ও আব্বাসরা বলছেন তাদের নামে কেউ অপরাধ করলে যেন গ্রেফতার করা হয়। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সমাজ ও রাষ্ট্রের সহায়তা চান তারা।
বিষয়টি নিয়ে ইকরামুল হক সাগর, এআইজি(মিডিয়া) পুলিশ সদর দপ্তর জানান, "তাদের এই আগ্রহকে তারা সাধুবাদ জানাই। কেউ জামিনে থাকলে যার আইনি কিছু বিষয় রয়েছে। আইনের ধাপগুলো তাকে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে যদি তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমরা করব"।
মায়মুনা