ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

রাজবাড়ীতে বেহাল সড়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী

প্রকাশিত: ০১:২১, ১৮ মার্চ ২০২৫

রাজবাড়ীতে বেহাল সড়ক

সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাঘকপুর-খানখানাপুর এলাকার পাকা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী

জেলার সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাঘকপুর-খানখানাপুর এলাকার পাকা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুই পাশের ইটভাঁটি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার কারণে রাস্তার অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এতে সাধারণ জনগণ চরম দুর্ভোগের শিকার হলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার পাচুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রেল গেট পার হওয়ার পর থেকে স্থানীয় পাকার রাস্তার দুই পাশে ৬টি ইটভাঁটি গড়ে উঠেছে। ইটভাঁটিগুলো সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায়। ইটভাঁটির কারণে পাকা রাস্তা দেখা মেলে না। একটি ব্রিজ রয়েছে তবে দৃশ্যমান কিছু দেখা যায় না।

রাস্তার দুই পাশে ইটভাঁটির মাটি দিয়ে উঁচু করে রাখা হয়েছে। এতে দুই পাশ থেকে পাকা আঞ্চলিক সড়কটি বেশি অংশ দখল হয়ে গেছে। একটি ছোট গাড়িও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারে না। রাস্তার মধ্যে শুধু বালু আর বালু। 
স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হয়, কিন্তু রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে একটু বৃষ্টি হলেই কর্দমাক্ত হয়ে যায়, আর শুকনো মৌসুমে ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। 
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারিয়া হক জানান, অবশ্যই আমি সরেজমিন গিয়ে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে কোন কাজ করা যাবে না। আর ইটভাঁটির মাটি দিয়ে রাস্তা দখল, এটা কোনো ভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান ট্রলি ও হামজা 
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী  থেকে জানান, নেই রোড পারমিট, না আছে রুট পারমিট। তারপরও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শহর বন্দর গ্রাম। মাত্রাতিরিক্ত মালামাল বোঝাই করে পাকা সড়ক মহাসড়কে ফ্রি স্টাইলে চলাচল করছে। অথচ এটি কোনো যান নয়। কৃষিকাজে ব্যবহারের এক ধরনের উপকরণ। কিন্তু দৈত্যাকৃতির যন্ত্রটি ট্রাকের বডি লাগিয়ে এখন সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

গ্রামীণ জনপদের কাদামাটির সড়কগুলো ল-ভ- করে দিচ্ছে। বাদ যায়নি এলজিইডির নির্মিত উপজেলার অভ্যন্তরীণ পাকা সড়কও। সব বেহাল দৈত্যাকৃতির ওই যানের চাকার বিটে পিষ্ট হয়ে অধিকাংশ সড়ক খানাখন্দে একাকার হয়ে গেছে। স্থানীয়ভাবে হামজা কিংবা ট্রলি বলা হয় এই যানকে। অবৈধ এই যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে হতাহতের একাধিক ঘটনা ঘটলেও বন্ধ হয়নি সড়কে চলাচল। স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে এসব অবৈধ যান সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। 
মহিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী ফজলু গাজী জানান, যদিও মানুষের খরচ কম হওয়ায় এই যান ব্যবহার করছে। তারপরও এই ট্রলি গাড়িগুলো চলাচলের কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে যায়। মাটির রাস্তা তো একেবারে শেষ করে দেয়। তার মতামত, রাস্তাগুলোও আরও ভালো মানের করা প্রয়োজন। ছলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সোবাহান জানান, অবৈধ এই ট্রলি হামজা রাস্তায় চলাচল বন্ধ না করলে রাস্তাঘাট ঠিক রাখা যাবে না। এক কথায় এই অবৈধ ট্রলি হামজার কারণে গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন জানান, মূলত সরকার ভর্তুকি মূল্যে কৃষি উপকরণ হিসেবে অনেক কৃষকের মাঝে সরবরাহ করেছে। যা কৃষি জমি চাষাবাদ ও কৃষি উপকরণ সরবরাহের কাজে ব্যবহার করার কথা। কিন্তু বাস্তবে ইট-বালু, রড সিমেন্টসহ বাণিজ্যিক কাজে এসব ব্যবহার হচ্ছে।
এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান জানান, এখানকার গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে  এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বিষয়টি উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থাপন করবেন বলে জানান। 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি উপজেলা পরিষদের সভায় বিষয়টি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।

×