ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

পূর্ণিমা রেলি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার

আহমেদুজ্জামান আলম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)

প্রকাশিত: ০১:১৭, ১৮ মার্চ ২০২৫

পূর্ণিমা রেলি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার

ছবি: জনকণ্ঠ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের আলোচিত পূর্ণিমা রেলি (১০) হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত, রক্তমাখা দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামি উজ্জ্বল বাউরী ডন (২৩) ও অপর আসামি দিবস রেংগেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে জানিয়েছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে পূর্ণিমা রেলিকে হত্যা করেছে।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত উজ্জ্বল বাউরী ডনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলে মৃতদেহের ২০ ফুট দূরে চা গাছের ঝোপের মধ্যে লুকানো অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা (যার ওপর শুকনো রক্ত ছিল) এবং আসামি ডনের বাড়ির পেছনে মাটির নিচ থেকে সাইকেলের প্যাডেল উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ভাঙা সাইকেলের প্যাডেল আগেই জব্দ করা হয়েছিল।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর টিলা থেকে চা শ্রমিক কন্যা পূর্ণিমা রেলির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা ৩ জোড়া স্যান্ডেল, একটি বাইসাইকেলের প্যাডেল এবং পুরাতন একটি গামছার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়।

এরপর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে দিবস রেংগেট (১৯) এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে উজ্জ্বল বাউরী ওরফে ডন (২৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের মৌলভীবাজার আদালতে পাঠানো হলে আসামি দিবস রেংগেট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, সে পূর্ণিমা রেলিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গলা ও হাতের কব্জি কেটে হত্যা করে।

এম.কে.

×