
কুমিল্লার লাকসামে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছেন নির্যাতিতার মা।মামলায় অভিযুক্ত এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপতার করেছে পুলিশ।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মাসুদ,মনির হোসেন আল আমিন, ও বিলকিস আক্তার কল্পনা।তিনি আরো জানান ১৬ই মার্চ রবিবার ভিকটিমের মা লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যে পাঁচজন আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার সোনাপুর এলাকার এক তরুণী ও তার স্বামী গত ১৩ই মার্চ লাকসামে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যান।১৪ ই মার্চ ভোরে তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি চালকের কারসাজিতে অপহরণের শিকার হন। সিএনজি চালক মাসুদ ও তার সহযোগীরা স্বামী-স্ত্রী দুইজনকে নিয়ে লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় যায়।
সেখানে স্বামীকে ফেলে রেখে তরুণীকে নিয়ে লাকসামের সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়।সেখানেই ধর্ষণ করা হয় তরুণীটিকে।পরে লাকসামের আট নং ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় অভিযুক্ত বিলকিস আক্তার কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে গিয়ে আবারো ধর্ষণ করা হয় তরুণীটিকে। ঘটনার দুইদিন পর ১৬ই মার্চ ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় তরুণীটিকে উদ্ধার করে লাকসাম থানায় নিয়ে যায়।
ওইদিনই তরুণীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশের অভিযানে অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকেই গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, ভিকটিম তরুণীটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।অভিযুক্তদের আদালতের নির্দেশে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র:https://tinyurl.com/3waxfdrd
আফরোজা